ক্লাস পরীক্ষার দাবিতে ইবির আইন বিভাগে তালা : কর্ম বিরতিতে শিক্ষকরা

ইবি প্রতিনিধি: আবারো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বিভাগীয় সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনে বিভাগে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আইন বিভাগের অফিস ও কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় বিভাগীয় সভাপতিসহ কয়েকজন শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এদিকে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল ও বিভাগীয় সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে আজ থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনসহ সব ধরনের একাডেমিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরতিতে যাচ্ছেন বিভাগীয় শিক্ষকরা।
আইন বিভাগসূত্রে জানা যায়, ক্লাস-পরীক্ষা এবং একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালানোর দাবিতে বিভাগে তালা লাগিয়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসনেসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে বিভাগের জেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ড. সেলিম তোহার কাছে তাদের ক্ষোভের কথা জানান। ক্ষোভের কথা বলতে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কাঁদতে দেখা গিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
আইন বিভাগের মার্স্টাসের ছাত্র রাসেল খান বলেন, ‘শিক্ষকরা ক্লাস পরীক্ষা নিবেন এটা আমাদের অধিকার। অথচ বিভাগীয় শিক্ষকদের নোংরা রাজনীতির কারনে আমরা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই আমরা ১০-১২ শিক্ষার্থী সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখানে আর এলএলএম করবো না। শিক্ষকরা তাদের রাজনীতি নিয়ে পড়ে থাকুক।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল ও বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডলের পদত্যাগের দাবিতে আজ থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরতিতে যাচ্ছেন বিভাগীয় শিক্ষকরা। গত রোববার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তারা এ ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আইনগত দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা রাখেনি। এই মূহুর্তে ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকা ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প পথ নেই। তিনি বলেন, হয় বিভাগীয় সভাপতিতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে অথবা তাকে অব্যাহতি দিতে হবে। অন্যথায় আমরা ক্লাস পরীক্ষায় ফিরে যাব না।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম সরকার বলেন, বিভাগটিতে বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত। বিদ্যমান দুটি পক্ষের দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে একাধিকবার আলোচনা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।