চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া, পুরস্কার বিতরণী ও নবীণবরণ অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া, পুরস্কার বিতরণ ও নবীণবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস মাহজেবীন।
ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ৬-বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মেজর আনোয়ার জাহিদ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোযোগ দিতে হবে। কারণ খেলাধুলার কারণেই বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন তোমরাই পারবে আগামী দিনের বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে। প্রধান অতিথি সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগার উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুন নাহার, এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম আলী আখতার, সোহরাওয়ার্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক শাহিনুল ইসলাম, ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা, ৬-বিজিবি ব্যাটালিয়নের সুবেদার মেজর জসিম উদ্দিনসহ বিজিবির বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম খুরশিদা হক জোয়ার্দ্দারসহ জাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হায়দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুল হালিম ও সেলিম রেজা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নতুন শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর অতিথিদের ব্যাজ পরানো হয়। অনুষ্ঠানে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাশেব রহমানের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস মাহজেবীন। শেষে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও অতিথি শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) খাইরুল ইসলাম।