স্টাফ রিপোর্টার: ঘুষের ১৪ হাজার টাকা ফেরত দিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দুই কর্মচারী। তারা হলেন আবদুল খালেক ও আবদুস সবুর। গতকাল সোমবার বিকেলে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমানের দফতরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই দুই কর্মচারী ঘুষের টাকা ফেরত দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তাদেরকে সতর্ক করে এ দফায় ক্ষমা করা হয়েছে।
ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া রানা ইকবাল বলেন, তার পিতা রবিউল ইসলাম মহেশপুর উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। কর্মরত অবস্থায় ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পিতার মৃত্যুর পর অবসরকালীন টাকা তুলতে তিনি মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যান। অফিসের দু কর্মচারী আবদুস সবুর ও আবদুল খালেক তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এই টাকা না দিলে তারা কাজ করবেন না বলে জানান। হয়রানি ও দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে তিনি ওই দুই কর্মচারীর হাতে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা তুলে দেন। ঘুষ দিয়েও কাজ না হওয়ার পর তিনি নানাভাবে ঘুরতে থাকেন। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে। খবর পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘুষ নেয়ার কথা স্বীকার করেন এবং জানান আর এমন কাজ করবেন না।