স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শুধু খেলাতেই সেরা নন তিনি। আর্থিক সম্পদের পরিমাণের দিক থেকেও বাংলাদেশের যেকোনো খেলোয়াড়ের তুলনায় তার সম্পত্তি বেশি। সাকিব আল হাসানের সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ২৭৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ২৫০ টাকা। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকার গত ২১ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে এসব তথ্য তুলে ধরে ওয়েবসাইটটি। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সবচেয়ে উপার্জনকারী ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাকিব আল হাসানের সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫ মিলিয়ন ডলার। বেতন, পারিশ্রমিক, বিজ্ঞাপন, কসমেটিকস, রেস্তোরাঁ ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে অর্জিত অর্থ দিয়েই সাকিবের অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৭৬ কোটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্রিকেটবিশ্বে খেলোয়াড়দের আয় নিয়ে কথা বলা হলে প্রথমে চলে আসে ভারতীয় ক্রিকেটারদের আয়ের কথা। আয়ের দিক দিয়ে তারাই সব থেকে এগিয়ে। তবে এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। সাকিব আল হাসান ভারতের প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র ক্রিকেটার। কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠ মাতান এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আইপিএল থেকে একটা মোটাঅঙ্কের টাকা আয় করেন সাকিব। ২০১১ সালে আইপিএলে সাকিবকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে কিনে নেয় কোলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৬ সালেও কোলকাতায় খেলবেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। সাকিবকে রেখে দেয়ায় ২ কোটি ৮০ হাজার রুপি দিতে হচ্ছে কেকেআরকে। এছাড়া বিপিএল, বিগব্যাশ এবং ইংলিশ কাউন্টি থেকেও ভালোই অর্থ আয় করেছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের আইকন খেলোয়াড় ছিলেন সাকিব আল হাসান। এ সময় তার মূল্য ছিলো ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়া বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিলেন সাকিব।
সম্প্রতি পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগের (পিএসএল) ফ্রাঞ্চাইজি করাচি কিংস ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে সাকিবকে কিনেছে। ২০০৯ সালে উইজডেন ম্যাগাজিনের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হন সাকিব। সে সময় বড় অঙ্কের অর্থ সাকিবের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এছাড়া, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যদূত এবং পেপসি, ক্যাসট্রল, নর্টন এন্টিভাইরাস, বুস্ট, লাইফবয়, লা রিভ, লেনেভো, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলালিংক, রানার মোটরসাইকেল, জ্যানএনজি আইসক্রিম, টিফিন বিস্কুটস, সিঙ্গার ইলেকট্রনিকসের বিজ্ঞাপনী দূত হিসেবে মোটাঅঙ্কের অর্থ পেয়েছেন সাকিব।
ব্যক্তিগত ব্যবসাতেও সাকিব সফল। যমুনা ফিউচার পার্কে সাকিবের নিজস্ব কসমেটিকসের দোকান কসমিক জোভিয়ান, বনানীতে নিজের রেস্টুরেস্ট সাকিবস ডাইন এরই মধ্যে লাভের মুখ দেখেছে। প্রচুর আয় হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে।