চুয়াডাঙ্গার গবরগাড়ায় পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতাতে আত্মগোপনে থেকে অপহরণের নাটক

বেগমপুর প্রতিনিধি: ভাবীর সাথে পরকীয়া করে পরিবারের কাছ টাকা হাতানোর জন্য আত্মগোপন করে অপহরণের নাটক সাজিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার গোবরগাড়ার জুয়েল। মামলার ৫ দিনের মাথায় পুলিশি তদন্তে ভাবীর মোবাইল ট্রাকিং করে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হলো জুয়েল। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করায় অপহরণের অভিযোগে বিপাকে চুয়াডাঙ্গা মাছেরদাড়ি ডোমচারার জামাই মানিক। সবকিছু অকপটে স্বীকার করলেন জুয়েলের পিতা-মাতা।
জানা গেছে, ভাবীর সাথে পরকীয়া টিকিয়ে রাখতে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গবরগাড়া গ্রামের রকমানের ছেলে জুয়েল (২০) আত্মগোপন করে গত ২৯ ডিসেম্বর। ১৪ জানুয়ারি অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইলফোনে পরিবারের লোকজনকে জানায় তাকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্ত হতে প্রয়োজন ৭০ হাজার টাকা। এ টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে অপহরণকারীরা। এমন ফোন পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে জুয়েলের মা-বাবাসহ পরিবারের লোকজন। পরের দিন ১৫ জানুয়ারি জুয়েলের পিতা রকমান সন্দেহবশত মাছেরদাড়ি গ্রামের মাইনুলের ছেলে জামাই মানিকের নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে জুয়েলের সন্ধানে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি ট্রাকিং করে। এতে তার কললিস্টে দুঃসম্পর্কীয় ভাবী তাহেরের স্ত্রী লিলুফার নাম্বারের সন্ধান পায়। এ সময় লিলুফাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অকপটে সবকিছু স্বীকার করে বলে জুয়েল পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতাতে আত্মগোপন থেকে অপহরণের নাটক সাজিয়েছে। পুলিশ জুয়েলকে ফেরত আনতে ভাবী লিলুফাকে চাপ দেয়। অবশেষে ভাবীর ফোন পেয়ে অবস্থা বেগতিক বুঝে মামলার ৫ দিনের মাথায় গত বুধবার রাত ১০টার দিকে জুয়েল বাড়ি ফিরে আসে। এ বিষয়ে জুয়েলের বাবা রকমান ও মা মমিনজান বলেন, সব দোষ আমার ওই কুলাঙ্গার ছেলের। আজ তার কারণে সন্দেহবশত জামাইকে অপহরণ মামলার আসামি করেছি। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বজলুর রহমান বলেন, বাদী মামলা না তোলা পর্যন্ত আইনের চোখে জামাই মানিক আসামি। আজ রোববার এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে থানায় আসতে বলেছি।