গাজীপুরে কারখানায় বিস্ফোরণ : নিহত ৫

স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরের পূবাইলে একটি কারাখানায় বয়লার বিস্ফোরণে এক নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। এতে গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বিকালে পূবাইলের স্মার্ট মেটাল অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের ওই কারখানায় এ বিস্ফোরণের ঘটন ঘটে বলে জানান গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান লিটন। পাঁচজনের লাশই শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালমর্গে আছে। তাদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো স্থানীয় বারইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জেবুন্নেসা সিদ্দিকা (৪০), বসুগাঁও গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. সেলিম (৪৫) ও মাদারীপুরের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কাওসার হোসেন (৪০)। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, কারখানাটিতে পুরনো টায়ার গলিয়ে তার ও এক ধরনের জ্বালানি তেল বের করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ কারখানার দুটি বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এর পরপর কারখানায় থাকা একটি ট্যাংক লরিতেও বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কারখানার টিনশেড ঘরের চাল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় কারখানার পার্শ্ববর্তী জয়দেবপুর-পূবাইল সড়কে থাকা অটোরিকশায় আগুন ধরে যায়। এতে যাত্রী জেবুন্নেসা ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং মারাত্মক দগ্ধ হন চালক স্বাধীন। খবর পেয়ে টঙ্গী ও জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, পরে ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও স্থানীয়রা কারখানার আরও চারজনের লাশ এবং দগ্ধ অবস্থায় সুপারভাইজার আব্দুল কাদের (৫৫) ও কামাল হোসেনকে (৪৯) উদ্ধার করে। কাদের ও কামালকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং স্বাধীনকে টঙ্গী হাসপাতালে পাঠানো হয়। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুস সালাম সরকার জানান, কামাল ও কাদেরের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। টঙ্গী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জেসমিন আক্তার জানান, স্বাধীনের শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।