স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচে ৩১ রানের জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। তাদের দেয়া ১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে গিয়ে ১৫৬ রানেই থেমে গেছে স্বাগতিকদের ইনিংস। সাব্বির রহমানের অর্ধশতক ও নুরুল হাসানের ৩০ রান ছাড়া আর কেউই তেমন সুবিধা করতে পারেনি। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ইমরুল কায়েসকে হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১ রানে চিজোরোর বলে বোল্ড আউট হন দলে ফেরা এ ব্যাটসম্যান। এরপর সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকারের তাণ্ডবে ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছিলো স্বাগতিকদের স্কোর। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় সৌম্য সরকার আউট হলে রানের গতি কিছুটা কমে আসে। এর পরপরই বিদায় নেন সাব্বির রহমানও। দলীয় স্কোর ১০৭ পৌঁছুতে না পৌঁছাতেই সাজঘরে ফেরেন আরো তিনজন। মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে আউট হন মোসাদ্দেক হোসাইন, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শেষের দিকে তরুণ ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান ঝড় তুললেও তাতে শেষ রক্ষা হয়নি।
এর আগে চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বুধবার টস জিতে ব্যাটিং নেয় জিম্বাবুয়ে। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৮৭ তোলে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। দলের পক্ষে ম্যালকম ওয়ালার ৪৯ ও সিবান্দা ৪৪ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ৩টি ও অভিষেক হওয়া আবু হায়দার রনি ২টি উইকেট নেন। এ ম্যাচেও জিম্বাবুয়ের হয়ে টস করেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, নিয়মিত অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা দলের ছিলেন। এ ম্যাচে অভিষেক হয় বাংলাদেশের চার ক্রিকেটারের। পাঁচ পরিবর্তনের চারটি পরিবর্তন ছিল অবধারিতই। গত ম্যাচের একাদশে থাকা মুশফিকুর রহিম, শুভাগত হোম, আল আমিন হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান নেই শেষ দু ম্যাচর স্কোয়াডেই। সাথে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে ওপেনার তামিম ইকবালকেও। অভিষেক হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ শহীদ, আবু হায়দার রনি ও মুক্তার আলির। আর একাদশে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন হয় সফরকারীদের। মাসাকাদজাকে ফেরান অভিষিক্ত মোহাম্মদ শহীদ। দলীয় ৮০ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মতুমবামি। এরপর রিচমন্ড মতুমবামি ও ভুসি সিবান্দাকে ফেরান সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ৭ ওভার পর বৃষ্টির বাধায় ২২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকলেও কোনো ওভার কাটা যায়নি।