মাথাভাঙ্গা মনিটর: কখনো মনে হয়েছে ক্রিকেট মাঠে যা কিছু হওয়া সম্ভব সব দেখে ফেলেছেন? তাহলে আরেকবার ভাবুন। কারণ বিগ ব্যাশে গতকাল যা হয়েছে, তেমন কিছু এর আগে আপনার দেখার সম্ভাবনা খুব কম। জীবনে ঠিক কতবার কোনো ফিল্ডারকে নাক দিয়ে একজন ব্যাটসম্যানকে রান আউট করতে দেখেছেন? ৯০ ডিগ্রি দুরূহ কোণ থেকে থ্রো করে আউট অনেক দেখেছেন, ফুটবলের মতো শট মেরেও রান-আউট কম হয়নি। কিন্তু নাক দিয়ে আউট? বিরল ঘটনা। অবশ্য অ্যাডাম জাম্পাও যে খুশি মনে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তা-ও নয়। উইকেট ফেলতে গিয়ে এভাবে নিজের নাকের বারোটা বাজুক, সেটি কে-ই বা চায়! তবে জাম্পা না চাইতেও ঘটনাটা ঘটেছে কাল বিগ ব্যাশের মেলবোর্ন ডার্বিতে। স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে, নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা মেলবোর্ন রেনেগেডসের ব্যাটসম্যান পিটার নেভিলকে রান আউট করেছেন মেলবোর্ন স্টারস অলরাউন্ডার জাম্পা। কিন্তু সেখানে লেখা নেই, কীভাবে পরপর দুটি মুহূর্তে উচ্ছ্বাস আর ভয়ের দুটি ভিন্ন অনুভূতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে স্টারস সমর্থকদের। কীভাবে আনন্দ-বেদনার যুগল অনুভূতি ছিল জাম্পার মুখেও।
ম্যাচের ১৩তম ওভারের খেলা চলছিলো। জাম্পার নিরীহ দর্শন বলটিতে বেশ জোরে স্ট্রেট ড্রাইভ করেছিলেন রেনেগেডস ব্যাটসম্যান ডোয়াইন ব্রাভো। নিশ্চিত চার-ই হয়তো ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম! বল গিয়ে লাগল রানের উদ্দেশ্যে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসা অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান নেভিলের ব্যাটে। জাম্পা অবশ্য বলতে পারেন, ‘কার বিধি বাম? ব্রাভোর না আমার?’ একই প্রশ্ন করতে পারেন নেভিলও! তার ব্যাটে লেগে দিক পরিবর্তন করে বল গিয়ে লাগল জাম্পার নাকে। সেখান থেকে স্টাম্পে! তখনো ক্রিজের বাইরে নেভিল। আউট! তিনি হতবাক, ওদিকে জাম্পা তার নাক চেপে ধরে বসে আছেন! ইচ্ছাকৃত হয়তো ছিল না, তবে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে গিয়ে যে নিজের নাক ফাটিয়ে বসে আছেন এই ২৩ বছর বয়সী স্টারস বোলার। অবশ্য দিন শেষে কাজে লেগেছে জাম্পার এ ‘নাক-গলানো।’ ম্যাচটা জিতেছে স্টারস। যাতে তার ওই রানআউটের গুরুত্ব অনেক। একটু একটু করে জাঁকিয়ে বসতে থাকা নেভিল-ব্রাভো জুটিটা ভেঙে যে রেনেগেডসের রানের তোড়ে বাধ দিয়েছেন জাম্পা। এই খুশিতে যদি তার নাকের ব্যথা কিছু কমে।