স্টাফ রিপোর্টার: ঘাড়ে কোপ মেরে অর্ধেকের বেশি কেটে দেয়া আলমসাধু চালক মনিরুজ্জামান টুটুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার টানা ৪ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা বলেছেন, সুক্ষ্মভাবে করা অপারেশন সফল হয়েছে। আশা করছি টুটুল সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে সময় লাগবে।
গত পরশু সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বেগমপুর কেরুজ খামার বরিংমাঠ থেকে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মনিরুজ্জামান টুটুলকে। সে মেহেরপুর গাংনীর হেমায়েতপুর রাজাপাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে। থাকতো শ্বশুরবাড়ি ষলোটাকা গ্রামে। গতপরশু সকাল ১০টার দিকে আলমসাধুর ইঞ্জিনের মবিল বদলানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বোয়ালিয়ায় মবিল বদলানোর পর স্ত্রীকে জানায়, একটি ভাড়া পেয়েছি ফিরতে দেরি হবে। বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে টুটুল তার পিতাকে ফোনে বলে, চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর মাঠে নিয়ে আমাকে জবাই করেছে। এরপরই তাকে উদ্ধার পক্রিয়া শুরু হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। উল্টো জবাইয়ে মৃতপ্রায় টুটুলকে নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করলেও চিকিৎসকেরা দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরশু রাতে অর্থাভাবে তাকে নিতে না পারলেও গতকাল অ্যাম্বুলেন্সযোগে নেয়া হয় রাজশাহী। বিকেলে পৌঁছায়। রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টানা ৪ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা শোনান আশার বাণী। টুটুলের শয্যাপাশে থাকা তার শ্যালক হাসান কাদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।