দুই ভাতিজা ও ভাগ্নেকে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা : ঘাতক আটক

দুই ভাতিজা ও ভাগ্নেকে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা : ঘাতক আটক
স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুই ভাতিজা ও ভাগ্নেকে হাত-পা বেঁধে গ্যাসের আগুনে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে এক ঘাতক। এর আগে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ৩ শিশুর মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো দোলোয়ার হোসেনের ছেলে মোস্তফা আমীন (৮) ও মোস্তফা সাফিন (১০) এবং দেলোয়ারের বোন জেসমিন খাতুনের ছেলে মাহিম (১৩)। পারিবারিক কলহের জের ধরে দেলোয়ারের ভাই ইকবাল হোসেন (৪২) এ বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পুলিশ তাকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইকবাল হোসেন ঘরের একটি কক্ষে ভাতিজা আমিন ও সাফিন এবং ভাগ্নে মাহিমকে হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাদের মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে সিলিন্ডারের গ্যাসে তাদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক আমিন ও সাফিনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর দগ্ধ মাহিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রাত ৮টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।
স্বজনরা জানান, মৃত সাফিন কবিরপুর কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেণির, আমিন প্লে শ্রেণির ও মাহিন ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। মাহিমের মা জেসমিন বলেন, ইকবাল ৮ বছর ধরে সিঙ্গাপুর ছিলেন। ৪ মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসাব নিয়ে ছোট ভাই দেলোয়ার ও বাবার সাথে বিরোধে জড়িয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান তিনি। আমিন ও সাফিনের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাবার সাথে বড় ভাই ইকবালের অর্থ লেনদেনের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, বড় ভাই ইকবাল শিশুদের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আগুনে পুড়িয়ে তাদের হত্যা করে। স্থানীয়রা জানান, ঘাতক ইকবাল মাদকাসক্ত ছিলো। তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। ঝিনাইদহের সার্কেল এএসপি কানজিলাল বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে শরীরে রক্তমাখা অবস্থায় ঘাতক ইকবালকে আটক করা হয়েছে। তিনি পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন।