স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর মেয়র নওয়াব আলী বললেন, ডিজিটাল কারচুপি করে আমাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া দলীয় নেতাদের মধ্যে বাবু খান যেমন পাশে থাকেননি, তেমনই জামায়াত প্রার্থী দিয়ে আমাকে হারিয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা বলেছেন, প্রশাসনিক সুক্ষ্ম কৌশলের কাছে পরাজয় মেনে নিতে হলো। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় বিএনপির নিশ্চয় অতো কম ভোট নয়।
চুয়াডাঙ্গার ৪টি পৌরসভা নির্বাচনেই বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ছিলো। এর মধ্যে আলমডাঙ্গা পৌরসভার বর্তমান মেয়র মীর মহিউদ্দীন, দর্শনা পৌরসভার বর্তমান মেয়র মহিদুল ইসলাম, জীবননগর পৌরসভার বর্তমান মেয়র নওয়াব আলী ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় গতবারের পরাজিত খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। এরা সকলেই পরাজিত হয়েছেন। বিএনপির পরাজিত প্রার্থীদের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। হাজি নওয়াব আলী ও খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে পরাজয় সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে নানা অভিযোগ করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। তার অভিযোগ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীকের হয়ে কাজ করেননি। তিনি বিগত কয়েকটি নির্বাচনে বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনিও অভিযোগ করেন, বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও তাদের অনুসারীরা আমার বিপক্ষে কাজ করেছেন। আর এ কারণে বিএনপির কেন্দ্র হিসাবে চিন্থিত ভোট কেন্দ্রেগুলোতে ধানের শীষ তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। একই সাথে তিনিও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
চুয়াডাঙ্গা ও জীবননগর পৌর নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রাথীদের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : ডিজিটাল কারচুপির কারণেই ধানের শীষ প্রতীকের পরাজয়
