আলমডাঙ্গা ব্যুরো: নজিরবিহীন প্রশাসনিক কঠোরতার মধ্যদিয়ে আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আলমডাঙ্গা পৌরসভায় প্রায় ২ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়মুকুট ছিনিয়ে নিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাসান কাদির গনু। ইতঃপূর্বেও তিনি ২ বার আলমডাঙ্গা পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আলমডাঙ্গা পৌরসভায় মোট ভোট সংখ্যা ২৩ হাজার ১৮০ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৫টি। নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হাসান কাদির গনু পেয়েছেন ৭ হাজার ২শ, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী মীর মহিউদ্দীন পেয়েছেন ৫ হাজার ১৯০ ভোট। এছাড়া মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদ প্রার্থী এম সবেদ আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৭৮ ভোট, আম প্রতীক নিয়ে এনপিপির প্রার্থী রোকসানা পারভীন পেয়েছেন ৪৯ ভোট, মোবাইলফোন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদেকুর রহমান পলাশ পেয়েছেন ২৪৭ ভোট ও রেলইঞ্জিন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আল মামুন প্রিন্স পেয়েছেন ৮৪ ভোট।
নিম্নে তাদের প্রাপ্ত ভোটের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল উল্লেখ করা হলো- ১নং ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করা হয় আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও পুরাতন ভবন ভোটকেন্দ্রে নৌকা পেয়েছে যথাক্রমে ৪৩৩ ভোট ও ৩৪০ ভোট, ধানের শীষ পেয়েছে যথাক্রমে ৩ ৩৮ ভোট ও ৩ ৩৯ ভোট, মশাল পেয়েছে যথাক্রমে ১৯৩ ভোট ও ১৩৯ ভোট, মোবাইলফোন পেয়েছে যথাক্রমে ২০ ভোট ও ৮ ভোট, রেল ইঞ্জিন প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ১০ ভোট ও ২ ভোট, আম প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ৩ ও ০ ভোট।
২নং ওয়ার্ডের আলমডাঙ্গা মডেল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও মূলভবন ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ৩৪৭ ভোট ও ৩০১ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ৫৪৫ ভোট ও ৬৭৩ ভোট, মশাল প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ১২১ ও ১০১ ভোট, মোবাইলফোন প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ৪ ও ১১ ভোট, আম প্রতীক যথাক্রমে ৫ ও ১১ ভোট, ট্রেন প্রতীক যথাক্রমে ১০ ও ২ ভোট।
৩নং ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজে। আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের পুরাতন ভবন ও কলাভবন কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ৫৮০ ও ৫১৬ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ২০২ ও ২৪৩ ভোট, মশাল প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ১২৯ ও ১১০ ভোট, মোবাইলফোন পেয়েছে যথাক্রমে ৯ ও ১০ ভোট, ট্রেন পেয়েছে যথাক্রমে ০ ও ১ ভোট, আম পেয়েছে যথাক্রমে ২ ও ৩ ভোট।
৪নং ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে আলমডাঙ্গা আলেয়া মাদরাসায়। এ মাদরাসার ওপর ও নিচ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ৫৩৬ ও ৪৮১ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ২৭৫ ও ৩৬ ভোট, মশাল প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ১৮০ ও ১৯৬ ভোট, মোবাইলফোন পেয়েছে যথাক্রমে ১২ ও ১১ ভোট, ট্রেন পেয়েছে যথাক্রমে ৫ ও ৪ ভোট, আম পেয়েছে যথাক্রমে ৩ ও ৪ ভোট।
৫নং ওয়ার্ডের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে এরশাদপুর একাডেমি ও এরশাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এ দুটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৮ ও ১ হাজার ১২৭ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ১২৩ ও ৮৭ ভোট, মশাল প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ৬১ ও ৫১ ভোট, মোবাইলফোন পেয়েছে যথাক্রমে ১ ও ২ ভোট, ট্রেন পেয়েছে যথাক্রমে ৪ ও ০ ভোট, আম পেয়েছে যথাক্রমে ৬ ও ১ ভোট।
৬নং ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে জেএন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়ে নতুন ও পুরাতন দুটি ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ১৩৩ ও ১১৩ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ১৬৯ ও ২৮৬ ভোট, মশাল প্রতীক পেয়েছে যথাক্রমে ৮১৯ ও ৭৮০ ভোট, মোবাইলফোন পেয়েছে যথাক্রমে ৩২ ও ২৯ ভোট, ট্রেন পেয়েছে যথাক্রমে ২ ও ১০ ভোট, আম পেয়েছে যথাক্রমে ২ ও ৩ ভোট। ৭নং ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে গোবিন্দপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৩৮০ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ৩৬৭ ভোট, মশাল প্রতীক পেয়েছে ৮৭২ ভোট, মোবাইলফোন পেয়েছে ২৩ ভোট, ট্রেন পেয়েছে ১২ ভোট, আম পেয়েছে ২ ভোট।
৮নং ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে গোবিন্দপুর হাফিজিয়া মাদরাসায়। এ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ২৯১ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ৫৩৬ ভোট, মশাল প্রতীক পেয়েছে ৬৭১ ভোট, মোবাইলফোন পেয়েছে ৭১ ভোট, ট্রেন পেয়েছে ৪ ভোট, আম পেয়েছে ১ ভোট।
৯নং ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে বণ্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৬১৪ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ৭০১ ভোট, মশাল প্রতীক পেয়েছে ৩৫৫ ভোট, মোবাইলফোন পেয়েছে ১৭ ভোট, ট্রেন পেয়েছে ২০ ভোট, আম পেয়েছে ৩ ভোট।
এছাড়া ১নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীকে সর্বাধিক ৭৪৫ ভোট পেয়ে পুরুষ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন পুনরায় আলাল উদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোল্লা সুলতানুল আলম পাঞ্জাবি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪৯ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে পাঞ্জাবি প্রতীকে সর্বাধিক ৯০২ ভোট পেয়ে পুরুষ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন কাজী আলী আজগর সাচ্চু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খন্দকার মজিবুল ইসলাম পানির বোতল প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৭ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে সর্বাধিক ১ হাজার ১৩ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মো. জহুরুল ইসলাম স্বপন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দীনেশ কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪৪ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীকে সর্বাধিক ৭৭১ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সদর উদ্দীন ভোলা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পরিমল কুমার কালু ঘোষ পানির বোতল প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৩ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে সর্বাধিক ১ হাজার ৯ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল গাফফার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম ডালিম প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭৮ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীকে সর্বাধিক ৮২২ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মতিয়ার রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কাশেম উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৮৫ভোট। ৭নং ওয়ার্ডে পাঞ্জাবি প্রতীকে সর্বাধিক ৮৭০ ভোট পেয়ে পুরুষ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাপ্পি উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে সর্বাধিক ৭৩৭ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল ইসলাম রিফাত পানির বোতল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯৮ভোট। ৯নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে সর্বাধিক ৬১৫ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মামুন-অর রশিদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসিবুল হক টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ৬১৩ ভোট।
এছাড়া ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ভ্যানিটি ব্যাগ প্রতীকে ২ হাজার ১৬১ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন কল্পনা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিপ্রা বিশ্বাস আঙ্গুর প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৮৭২ ভোট। ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনে কাঁচি প্রতীকে সর্বাধিক ১৯৪২ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সামসাদ রানু রাঙাভাবি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাবেয়া খাতুন আঙ্গুর ফল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৪ ভোট। ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ভ্যানিটি ব্যাগ প্রতীকে ২ হাজার ৬৮৬ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন নূর জাহান খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনোয়ারা খাতুন কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৮০৫ ভোট।