শীত জেকে বসেছে। বিলম্বে হলেও পৌষের শুরুতে কনকনে শীত অনুভুত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার পূর্বাভাস হয়ে এসেছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। মেঘলা কাটলেই তীব্র শীত অনুভূত হবে। এর আগেই দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের মানবিক উদ্যোগ নেয়া দরকার।
যদিও দান-দক্ষিণায় অনগ্রসরদের খুব একটা এগিয়ে নেয়া যায় না। দানের চেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর দ্বার মেলে ধরা দরকার। বেকারত্ব ঘোচানোর জন্য যেমন দরকার পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান, তেমনই অনগ্রসরদের এগিয়ে নেয়ার জন্য দরকার তাদের কর্মমুখী করে উপার্জনে সহজলভ্যতা। সেদিকে ধীরে হলেও এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব, দেশও। তার আগে দুস্থদের শীতে দুর্ভোগ লাঘবে সরকারি-বেসরকারি সায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিগতভাবেও এগিয়ে আসা দরকার। কেননা, দুস্থদের দু বেলা দু মুঠো খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়। ঋতু পরিক্রমায় গরম আসতে না আসতেই শীতে পাওয়া বস্ত্রগুলোও ইঁদুরে কাটতে শুরু করে। বর্ষায় পচে গর্ত বোঝাইয়ের বস্তুতে রূপান্তর হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফি বছর অভিন্ন চিত্রই ফুটে ওঠে। ফলে শীতে দুস্থদের দুর্ভোগ লাঘবে গত বছরে দেয়া শীতবস্ত্রের কথা মনে করানো মানে বাতুলতা।
অবশ্যই প্রথমে প্রতিবেশীর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া দরকার। প্রতিবেশী যদি অনগ্ররসর হয় তাকে এগিয়ে নেয়ার মতো সহযোগিতা করা যেমন দরকার, তেমনই শীতে দুর্ভোগ লাঘবে মানবিক উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। আর সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ যথাসময়েই হওয়া উচিত।