পর্নোগ্রাফি মামলায় পান্না মাস্টারের ১০ বছরের জেল

 

স্টাফ রিপোর্টার: পরিমল জয়ধরের পর এবার কুষ্টিয়ার আলোচিত পর্নোগ্রাফি ঘটনার নায়ক পান্না মাস্টারকে ২ মামলায় ৫ বছর করে মোট ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আলাদা মামলায় এক লাখ ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলার অপর ৩ আসামি প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল, মনোয়ার হোসেন মনো ও আওলাদ হোসেন দুলালকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বেগম মাহমুদা খাতুন এ রায় প্রদান করেন।

জানা গেছে, কুষ্টিয়ার বারখাদা আদর্শ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্না বিদ্যালয় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সাথে কৌশলে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। সেই চিত্র গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে তা ফাঁস করে দেবার কথা বলে ওই ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেল করে অন্যদের সাথে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করতো। এভাবে চলার পর হঠাত এক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে সেই ছাত্রীর ভাই ও এলাকাবাসী ২০১৩ সালের ১৫ জুন তারিখে পান্না মাস্টারকে তার ভাড়া বাসায় আটক করে গণধোলাই দেয়। এ সময় পান্না মাস্টারের কম্পিউটার থেকে কতিপয় ছাত্রীর সাথে পান্নার নিজেরসহ আসামিদের যৌন সম্পর্কের ভিডিও চিত্র প্রচার হয়ে পড়ে। এ ঘটনার পরদিন পুলিশ পর্নোগ্রাফি মামলায় আসামিদের আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা এ মামলায় আসামি করা হয় ৪ জনকে। ৩ আসামি বিচার চলাকালে উপস্থিত থাকলেও ১ আসামি পলাতক ছিলো। এদিকে এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সরকার পক্ষের আইনজীবীরা। কুষ্টিয়া জর্জকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান মামুন জানান, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা মামলার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি।

উল্লেখ্য, শিক্ষক পান্নাসহ আসামিদের কয়েকজনের সাথে একাধিক স্কুল ছাত্রীর যৌন সর্ম্পকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সেই সময় দেশব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি হয়।