সারাদেশে কোটি কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত

স্টাফ রিপোর্টার: বাঙালির ৪৪তম বিজয়ের বার্ষিকীতে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুখরিত হলো জাতীয় সঙ্গীতে আর তাতে কণ্ঠ মেলালেন চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারা বাংলার কোটি নাগরিক।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে পাকিস্তানি বাহিনী এ উদ্যানেই আত্মসমর্পণের দলিলে সই করে, তখন এর নাম ছিলো রেসকোর্স ময়দান। গতকাল বুধবার বিজয় দিবসের বিকেলে ঠিক সেই মুহূর্তটিতে উদ্যানে স্থাপিত ‘বিজয় উত্সব’ মঞ্চের সামনে সমবেত জনতা গাইলেন, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…’। বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-গ্রামসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এবং সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিদের এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিলো আগেই। সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বেলা ১১টায় এবারের বিজয় উত্সবের উদ্বোধন করে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের বিচারের দাবি জানান। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থাপনাগুলো সংরক্ষণেরও দাবি জানান। জাতীয় সঙ্গীত’ পরিবেশনের জন্য ‘বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি’র আহ্বানে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পাদদেশে গতকাল মহান বিজয় দিবসে বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ পরিবেশন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঋদ্ধ চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্তরের জনগণ। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পূর্বে আলোচনা, আবৃত্তি, নাট্য-সংলাপ, দেশগান ও গণসঙ্গীত পরিবেশন করে উদীচী ও অরিন্দমের সংস্কৃতি-কর্মীরা।