চুয়াডাঙ্গা আকন্দবাড়িয়ার জাকির খুন মামলা দায়ের : করিমনচালক দিয়েছে তথ্য : ধরাপড়েছে মুক্তার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়ার আকন্দবাড়িয়ার জাকারিয়া হোসেন ওরফে জাকির হত্যার নেপথ্য এখন পুলিশের নখদর্পণে। ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া সেই করিমনচালক সিংহাটির রাশিদুল ইসলাম সব তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে। অপরদিকে মেহেরপুরের নতুন দরবেশপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মুক্তার হোসেনকে (৩৫) গতরাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশসূত্র এ তথ্য জানালেও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেছেন, কারা কেন খুন করেছে তা জানলেও মামলার তদন্তের স্বার্থে এখনই সব কিছু বলা যাচ্ছে না। খুনিচক্র যেহেতু শনাক্ত হয়েছে, সেহেতু দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বজলুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতরাতে মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুক্তার হোসেন এজাহার নামীয় আসামি।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাড়ি আকন্দবাড়িয়া গাংপাড়া থেকে পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আকন্দবাড়িয়া ফকিরবাগানে আয়োজিত ওরশের উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে একদল দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে। করিমনচালক ওরশস্থলে পৌঁছে জানায়, জাকিরকে ডাকাতদল ধরেছে। বোধ হয় খুন করেছে। এ কথা শুনে লোকজন ঘটনাস্থলে ছু্টে যায়। ততোক্ষণে খুনিরা নিরাপদে সরে পড়ে। খবর দেয়া হয় পুলিশে। ওই রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে বাদ মাগরিব নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন করা হয়। দাফনের পরদিন গতকাল শনিবার জাকির হোসেন ওরফে জাকিরের বড় ভাই কিবরিয়া হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় কাউকে আসামি করা হয়েছে কি-না তা জানা যায়নি। পুলিশও সে বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেনি।
তবে সূত্র বলেছে, ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয় করিমনচালক রাশিদুলকে। সে মেহেরপুর জেলা সদরের পিরোজপুর ইউনিয়নের সিংহাটির সাইফাত ওরফে সাইফাজের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে করিমনচালক বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ খুনি ধরার প্রক্রিয়া শুরু করে।