পৌর নির্বাচন হোক সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে

চুয়াডাঙ্গার ৪টি ও মেহেরপুরের গাংনীসহ দেশের মোট ২৩৬টি পৌরসভার নির্বাচনী তফসিল একযোগে ঘোষণা করা হয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালত দুটি পৌরসভার নির্বাচন সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ। বাকি ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হোক। এ প্রত্যাশা অবশ্যই অমূলক নয়। কেননা, ভোটাধিকার একজন নাগরিকের শুধু সাংবিধানিক অধিকারই নয়, সুনাগরিকের দায়িত্বও। গোপন ব্যালটে মতামতটুকু নির্বিঘ্নে প্রয়োগের সুযোগ না থাকলে রাষ্ট্রে একজন নাগরিকের কী থাকে?
অবশ্যই আসন্ন পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ পরিবেশেই সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড আছে কি-না তা এক্স-রে করে দেখতে হবে। তবে তিনি এটাও বলেছেন, এবারের পৌর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের স্বকীয়তা, নিরপেক্ষতা প্রমাণের সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে পারে। যদিও তৃণমূলের বাস্তবতা সর্বক্ষেত্রে এক নয়। দেশের গণতন্ত্র চর্চার ধরন দেখে যে কেউ বলতেই পারেন, রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাবমুক্ত ভোটের পরিবেশ গড়ে তোলা অসম্ভব প্রায়। তবুও সকল প্রার্থীর জন্য সমানতলার পরিবেশ গড়ে তুলে প্রশাসনের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনই কাম্য।
এবারই প্রথম পৌর নির্বাচন হবে দলীয় রাজনৈতিক দলের প্রতীকে। প্রতীক নির্বাচন করা হয়েছে ৭৪টি। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৪০টি, বাকিগুলো স্বতন্ত্র। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে। বিএনপিও। মনোয়নয়ন পেশের শেষ দিনে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে তেমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটের আগে-পরে সকল প্রার্থী ও প্রার্থীদের সমর্থক কর্মী সৌহর্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করুক। প্রকৃত যোগ্যরাই হোক নির্বাচিত।