চমকে ওঠার মতোই খবর। এক বছরে প্রায় ৫শ এইডস রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, মারা গেছে প্রায় একশ’। সরকারি পরিসংখ্যানেই যখন অতো, তখন আড়ালে আবডালে ওই সংখ্যা কতো? অবস্থাটা ভয়াবহ।
এইচআইভি ছোঁয়াচে নয়। এটা ছড়ায় আক্রান্ত কোনো নারী বা পুরুষের সাথে অরক্ষিতভাবে দৈহিক মিলনের পাশাপাশি সিরিঞ্জের সুচ ব্যবহার ও রক্ত নেয়ার মাধ্যমে। ফলে একটু সতর্কতা অবলম্ব করলেই ভয়ঙ্কর এই এইডস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কি হয় এ রোগে? এইচআইভ শরীরে ঢুকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেড়ে নেয়। কোনো ওষুধেও রোগ সারে না। ফলে অনিবার্য হয়ে ওঠে অপমৃত্যু। গতকাল ছিলো বিশ্ব এইডস দিবস। এ দিবসে জনসচেতনতার লক্ষ্যে শোভাযাত্রাসহ আলোচনাসভার মাধ্যমে সচেতনতা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। এইডস সম্পর্কে জানতে হবে, বুঝতে হবে, সুস্থ হয়ে বাঁচতে হবে। এ জন্যই এবারের স্লোগান ছিলো- ‘এইচআইভি সংক্রমণ নয় ও এইডস মৃত্যু নয় একটিও আর, বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়বো সবাই।’ একসময় দেশের জেলায় জেলায় গণিকালয় ছিলো। বলা হতো দেহব্যবসায়ী। নির্দিষ্টস্থানে বিধি মেনে তাদের দেহব্যবসসা করতে হতো। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষারও বাধ্যবাধকতা ছিলো। অধিকাংশ পতিতালয় উচ্ছেদ হয়েছে। বন্ধ হয়েছে কি পতিতাবৃত্তি? নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না যে, ছড়িয়ে পড়া ভ্রাম্যমাণ ও গোপনে গড়ে তোলা অবৈধ আস্তানার দেহব্যবসায়ীদের দেহ তথা স্বাস্থ্য পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা দূরাস্ত, তাদের চিহ্নিত করারই সুযোগ নেই। অথচ দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। ওদের খদ্দেরেরও অভাব নেই। মূলত এ কারণেই এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে চক্রবৃদ্ধিহারে। বর্তমানে এমনই অবস্থা, সামান্য অসতর্কতায় হড়কে যেতে পারে পা, ঝরতে পারে প্রাণ। শঙ্কা পদে পদে।
দৈহিক মিলনে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলা হয় বহুগামিতা ক্ষতিকর। তাছাড়া সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণেরও গুরুত্ব দেয়া হয়। যেহেতু দেশে এইডস পরিসংখ্যানের চিত্র পিলে চমকানো, সেহেতু সাবধান!