বন্দুকযুদ্ধ : মেহেরপুর রাজনগরের রমজান আলী নিহত

IMG_1523

IMG_1524মেহেরপুর অফিস: বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন মেহেরপুর জেলা সদরের রাজনগর গ্রামের রমজান আলী (৪২)। পুলিশ এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, গতরাত আড়াইটার দিকে বন্দর শ্মশানঘাট এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আহত হয়েছেন পুলিশের চার সদস্য। নিহত রমজান আলী রাজনগর গ্রামের মৃত আমির শেখের ছেলে ও নাশতকার সাতটি মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, রমজান আলীর নামে সদর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। জামায়াত নেতা রমজান আলীর নেতৃত্বে ২০১৩ সালে রাজনগরে র্যা ব সদস্যদের মারধর করে অস্ত্র কেড়ে নেয়া ও পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। নাশকতা প্রতিরোধ অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে আটকের পর তার সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য ও অস্ত্রের সন্ধান দেয়। সেমত গতরাত আড়াইটার দিকে পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে বন্দর শ্মশানঘাট এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় তার সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলি বর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পিছু হটে। এর মধ্যে রমজান আলীকে ছিনিয়ে নেয়ার সময় সে গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবু এহসান মো. রাজু তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি শার্টারগান, ২ রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সদর থানা পুলিশের এসআই মেজবাহুল, কনস্টেবল শাহীন, মিনজাজ ও আশরাফুল আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রমজানের সহযোগীদের হটাতে শর্টগানের ১১ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয় বলে জানান ওসি।
রমজান সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ২০১৩ সালে দেশব্যাপী আন্দোলনের সময় রাজনগরে তীব্র আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ গড়ে তোলে জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে রাজনগর শেখপাড়ায় অভিযানে গিয়ে র্যা -৬ গাংনী ক্যাম্পের কয়েকজন সদস্য গ্রামবাসীর হাতে প্রহৃত ও র্যা ব ও তাদের সোর্সের ৩টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। দুটি রিভালভারও ছিনিয়ে নেয় গ্রামবাসী। পরে অবশ্য অস্ত্র দুটি ফিরিয়ে দেয় গ্রামের লোকজন। এ ঘটনার অন্যতম আসামি ছিলেন নিহত রমজান আলী। অপরদিকে ওই সময়ে রাজনগর গ্রামে আসামি গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনারও অন্যতম আসামি হচ্ছে রমজান। তাছাড়া তার নামে নাশকতার ঘটনার ৭টি মামলা রয়েছে বলে জানান সদর থানার ওসি।
এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি শনিবার সকালে নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। রাজনৈতিক কারণেই তাকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে।