দর্শনায় মতবিনিময় সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী
হারুন রাজু/হানিফ মণ্ডল/নজরুল ইসলাম: দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের উন্নয়নের লক্যেেল মতবিনিময় ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে স্টেশন সংলগ্ন চত্বরে এমপি আলী আজগার টগরের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা দেশে চলছে উন্নয়ন কার্যক্রম। আপনারা জানেন রেলপথ ছিলো এতিম। এর নির্দিষ্ট কোনো মন্ত্রণালয় না থাকায় রেলের কোনো উন্নয়ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের উন্নয়নে গঠন করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে রেলের উন্নয়নে কাজ চলছে। হাতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক কার্যক্রম। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে। স্টেশনটিকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা হবে। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রেলপথ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সে কারণে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে রেলের অবকাঠামো উন্নয়নসহ যাত্রীসেবা নিশ্চিত করণের কাজ চলছে। এ সময় তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের দাবির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক স্টেশন থেকে রাজশাহী পর্যন্ত একটি ট্রেন, ঢাকা-খুলনাগামী যাত্রীবাহী ট্রেনটির দর্শনা হল্ট স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও স্টেশনের উন্নয়নসহ একটি বেসরকারি ব্যাংক দর্শনায় স্থাপনের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হাজি আলী আজগার টগর বলেন, ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর উপমহাদেশের এ অংশে রেলওয়ে তার গৌরবময় যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে রক্তস্নাত স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর দেশের উন্নয়নসহ রেলের উন্নয়ন থমকে যায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে উপমহাদেশের সমসাময়িক পরিবহন খাতের উন্নয়নের গতির সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্মানিত যাত্রীসাধারণ, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা এবং সরকারের পরিবহন সংক্রান্ত নীতি ও পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতি রেখে রেলওয়েকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ রেলওয়েকে সর্বোপরি দেশে একটি নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও সুলভ সরকারি গণপরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলতেও কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে বেশ কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। তিনি আরও বলেন, বিরাট সম্ভাবনা বুকে নিয়ে দাড়িয়ে আছে সীমান্তবর্তী শহর দর্শনা। নানা ঐতিহ্যের ধারক শিল্পশহর দর্শনা দেশের অর্থনৈতিক অঙ্গনে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দর্শনা তথা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ করতে নিরলসভাবে কাজ করছি। আপনারা সাথে থাকলে আমার অঞ্চলের উন্নয়ন তরান্বিত করবো ইনশাল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমান, নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, রেল সচিব ফিরোজ সালাউদ্দীন, রেলের মহা পরিচালক আমজাদ হোসেন, জেনারেল ম্যানেজার খায়রুল আলম, রেল পশ্চিম জোনের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বক্সি, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুজ্জামান ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক।
দর্শনা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ.লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাকারিয়া আলম, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা আলী মুনছুর বাবু, আন্তর্জাতিক স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মীর লিয়াকত আলী, হাজি জয়নাল আবেদীন, শফিকুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, খলিলুর রহমান, ইনু শাহ, আব্দুল করিম, আব্দুল জলিল, মমিনুল ইসলাম, আজাদ হোসেন, বিল্লাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টিপু, ইয়াস নবী, দাউদ হোসেন, যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ছোট, শেখ আসলাম আলী তোতা, আজিজুর রহমান বাবু, ইকবাল হোসেন, সোলাইমান কবির, তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রোকন উদ্দীন, ফয়সাল, মামুন শাহ, ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ববী, পারভেজ, তপু, লোমান, অপু, আলামিন প্রমুখ। মতবিনিময় সভার আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর অতিথিবৃন্দদের সাথে নিয়ে আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন, জয়নগর সীমান্ত কাষ্টমস, ইমেগ্রেশন, বিজিবি সম্মেলন কেন্দ্রসহ দর্শনার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।