গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী ও মজিরুলের দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া বর্জন

গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী ও মজিরুলের দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া বর্জন
গাংনী প্রতিনিধি: স্থানীয় আওয়ামী লীগের পৌর মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ প্রক্রিয়া বর্জন করেছেন গাংনী পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মেদ আলী এবং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম। মনোনয়ন নির্ধারণ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে গতকাল রোববার দুপুরে পৌর কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে নেতাদের পছন্দের ব্যক্তিকে প্রার্থী মনোনীত করা হবে এমন অভিযোগ করে তারা বিষয়টি দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাংনী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহম্মেদ টিপু। তিনি বলেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারদের নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠন করেছেন। গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে আগের কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ সদস্যদের অবহিত না করে ষড়যন্ত্রের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সকল কমিটির সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে পৌর মেয়র পদে দলীয় একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডারকে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতেই এসব ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন টিপু। লিখিত বক্তব্যে আশরাফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে তার দলীয় পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আমজাদ হোসেনসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি-সম্পাদকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আহম্মেদ আলীর অভিযোগ, টাকা দিলেই পৌর নির্বাচনের মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ডের দু সদস্য এমন প্রস্তাব তাকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি সব সময় বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী ওই সদস্যরা তাকে কখনো ভোট দিতো না বলে উল্লেখ করেন তিনি। গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হতে ৬ জন আবেদন করেন। এরা হচ্ছেন- বর্তমান মেয়র আহম্মেদ আলী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা হাজি মহাসিন আলী ও যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘কমিটি গঠনের ষড়যন্ত্র যদি করেই থাকি তাহলে আহম্মেদ আলী ও মজিরুল ইসলাম দলীয় মনোনয়নপত্র কেন গ্রহণ করেছেন? তারা নিশ্চিত পরাজয় জেনেই মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তারা।