স্টাফ রিপোর্টার: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ফেনসিডিল পাচারকারীরা সুযোগ বুঝে আগ্নেয়াস্ত্রও পাচার করে। গতকাল চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের শিংনগরের চিহ্নিত মাদককারবারী মোমিন (৩০) অত্যাধুনিক নাইনএমএম পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর এরকমই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গতরাত ৯টার দিকে তাকে তার গ্রামের কবরস্থানের নিকট থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ডিবির ওসি ইন্সপেক্টর ইউনুস আলীর নেতৃত্বে এসআই আমির আব্বাস ও এসআই রফিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে মোমিনকে পাকড়াও করেন। তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় একটি নাইনএমএম পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলিভর্তি দুটি ম্যাগজিন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আগ্নেয়াস্ত্রটি ভারত থেকে পাচার করে আনার কথা স্বীকার করেছে। বলেছে, ঢাকা জুরাইনের ফেনসিডিল ব্যবসায়ী ফালান একটি পিস্তল ও গুলি কিনতে চেয়েছিলো। টাকাও দিয়েছিলো। ফালানোর জন্য পিস্তলটি ভারত পশ্চিমবঙ্গের গেদের ফেনসিডিল পাচারকারী ছোটর নিকট থেকে নেয়া হয়। ছোট গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলেই তারকাঁটা পেরিয়ে এপারে এসে পিস্তলটি দিয়ে যায়। এই ছোট কে? জিজ্ঞাসাবাদে মোমিন বলেছে, বৃন্দার মতোই ছোট ফেনসিডিল পাচারকারীদের গডফাদার। গেদেতেই থাকে।
মোমিন সিংনগর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। চিহ্নিত মাদক কারবারী। গতরাতে চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরাপড়ার পর ভারত থেকে ফেনসিডিল পাচার করে আনার কথা স্বীকার করে বলেছে, ভারত থেকে পাচার করে আনার পর ঢাকা থেকে অনেকেই তা নিতে আসে। ঢাকা জুরাইনের ফালানও আসে। সে কিছু নৈশ কোচের চালকের সহযোগিতায় ফেনসিডিল ঢাকায় পাচার করা হয়। ওই ফালানই অস্ত্র কেনার জন্য ২৫ হাজার টাকা দেয়। ওই টাকা গেদের ছোটর হাতে তুলে দিই। ছোট এসে অস্ত্রটা দিতে না দিতেই পুলিশ অস্ত্রসহ ধরে আনলো।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ডিবির এসআই আমির আব্বাস বলেছেন, মোমিনের পিতার কয়েকটি স্ত্রী, কয়েকটি সংসার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি মোমিন অস্ত্র পাচার করে। তার কাছে অত্যাধূনিক অস্ত্র রয়েছে। এ তথ্য পেয়ে অভিযান চালানো হয়। মোমিনকে তার সৎভাই একই গ্রামের কবরস্থানপাড়ার মোনিরুজ্জামানের বাড়ির নিকট থেকে তাকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় অস্ত্রসশস্ত্র।