জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে ময়ের পদে সম্ভাব্য ৯ প্রার্থী মাঠে

এম আর বাবু: জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে ৫ জন ও বিএনপি থেকে ২ জন, জামায়াতে ইসলামী ও নাগরিক সমাজের ব্যানারে একজন করে ৯ প্রার্থী গণসংযোগে ব্যস্ত দিন অতিবাহিত করছেন। ইতোমধ্যে শহরসহ পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টানানো বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন তফসিল ঘোষণার পর সরিয়ে ফেলা শুরু হয়েছে। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র উপজেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি নোয়াব আলী সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন। তিনি সাবেক চুয়াডাঙ্গা জেলা আহ্বায়ক ওহিদুল ইসলাম বিশ্বাস গ্রুপের প্রভাবশালী একজন নেতা। নির্বাচনে মেয়র নোয়াব আলী শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারণে তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর বিএনপির সভাপতি গতবারের পরাজিত প্রার্থী শাহজাহান কবীর। তিনি বিএনপির অপর গ্রুপ শিল্পপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু গ্রুপের একজন নেতা। শাহজাহান কবীরের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। সম্প্রতি জামিন পেয়ে তিনি হাজতমুক্ত হয়ে গণসংযোগ করছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রকাশ্য গ্রুপিং রয়েছে। এখানে টগর ও হুইপ গ্রুপ সক্রিয়। গ্রুপিঙের কারণে আওয়ামী লীগের ৫ প্রার্থী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। এরা হচ্ছেন- গতবারের পরাজিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রফিক, কাউন্সিলর শেখ জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আ. সালাম ঈশা। জাহাঙ্গীর আলম, জয়নাল আবেদীন ও আ. সালাম ঈশা স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর গ্রুপের প্রভাবশালী নেতা। কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি পৌর কাউন্সিলর পদেও ভোট চাচ্ছেন। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন না পেলে তিনি পুনরায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবেন এমনটিই শোনা যাচ্ছে। অপর দিকে দলীয় কোন্দলের কারণে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি গ্রুপের নেতা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মেয়র পদে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের অপর নেতা পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রফিক দলীয় মনোনয়ন না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি যুবলীগের আহ্বায়ক আ. সালাম ঈশা নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। তরুণ এ রাজনীতিক দলীয় মনোনয়ন পেতে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। পৌর আমির মাও. সাজেদুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। অপরদিকে নাগরিক সমাজের ব্যানারে সম্ভাব্য প্রাথী তালিকায় রয়েছেন সাংবাদিক এম আর বাবু। তিনি ইতোমধ্যে পৌরবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি চমক দেখাবেন এমনটিই ধারণা পৌরবাসীর।

Leave a comment