স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ডাক্তারের নিয়োগ করা দালালকে পাকড়াও করে টাকা আদায় করে ছাড়লেন সাহসী এক নারী। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কে শনিবার সকাল ৮টার দিকে সাহসী নারী আশুরা খাতুন প্রকাশ্যে কথিত এক দালালের গলার গামছা ধরে টানাহেঁচড়া করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতারণা করে নেয়া টাকা ফেরত পান আশুরা খাতুন। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল পাড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের আশুরা খাতুন জানান, সপ্তাহখানেক আগে তার ডায়াবেটিস আক্রান্ত বেয়াইন বৃদ্ধা সফুরা খাতুনকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে আসেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বেয়াইনকে নিয়ে রিকশায় ওঠেন। রিকশাওয়ালা গফুর তাদেরকে ভুলভাল বুঝিয়ে এক রকম জোরপূর্বক নিয়ে যান এআর প্রাইভেট হাসপাতালের ডা. রফি উদ্দিন রফিকের কাছে। সেখানে প্রেসক্রিপশন ফি ৪শ’ টাকা এবং রক্ত পরীক্ষার জন্য আরো ১২০ টাকা দেন। ডাক্তারের লেখা ওষুধ খাওয়ানোর পর বৃদ্ধা সফুরা খাতুনের অবস্থা মুমূর্ষু হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে তাকে আবার ডায়াবেটিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়। আশুরা খাতুন জানান, বেলগাছি গ্রামের গফুর একজন দালাল। সে বিভিন্ন এলাকার রোগী বাগিয়ে ওই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। কয়েকদিন ধরে আমি তাকে খুঁজছিলাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে রিকশাওয়ালা গফুরকে পাকড়াও করেন আশুরা। তার গলার গামছা ধরে প্রকাশ্যে টানাহেঁচড়া করেন তিনি। পরে গফুর বাধ্য হয়ে আশুরাকে এআর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ডা. রফি উদ্দিন রফিকের চেম্বার থেকে ৫২০ টাকা ফেরত দেয়া হয় আশুরাকে।
অভিযোগকারীরা জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরে বেশ কিছু রিকশাওয়ালা আছে। তারা কয়েকটি ক্লিনিক ও কয়েকজন ডাক্তারের কাছে রোগী নিয়ে যায়। বিনিময়ে পায় বিশেষ কমিশন। এ ব্যাপারে ডা. রফি উদ্দিন রফিক বলেন, ‘আমার কোনো দালাল নেই, রোগী এলেই দেখতে হয়। সব ধরনের রোগীই দেখার অধিকার আছে। কারো কোনো কমিশন দিই না।’ টাকা ফেরত দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহিলা রোগী ঝামেলা করছিলো বলেই আমার চেম্বার থেকে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।’