চুয়াডাঙ্গার এশিয়া বিস্কুট কারখানার মিটারে কারসাজির অভিযোগ : বিদ্যুত আদালতে মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহে এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরির বিদ্যুতের মিটারে কারসাজির অভিযোগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও প্রতিষ্ঠানটির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়া জোন বিদ্যুত আদালতে ওই মামলা দায়ের করা হয়।

পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানি ওজোপাডিকো চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবুক্ত গীন বাদী হয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আজমল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মিটারে কারসাজির অভিযোগ অস্বীকার করে আজমল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগে এ ধরনের মামলা ষড়যন্ত্রের শামিল। তিনি আরও বলেন, কারখানাটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে কাগজপত্রে মালিকানা এখনো পরিবর্তন হয়নি। এর বর্তমান মালিক চুয়াডাঙ্গার শিল্পপতি রবিউল হক।

ওজোপাডিকো সূত্রে জানা যায়, ১৯১০ সালের বিদ্যুত আইনের ৩৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় ওই কারখানার বিরুদ্ধে দুটি টিটি সিলে কারসাজি করে ১ লাখ ১০ হাজার ১১২ ইউনিট ফাঁকি দিয়ে সরকারের ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫০৮ টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। আইন অনুযায়ী এর তিন গুণ জরিমানা হিসেবে বিবেচ্য হবে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহের এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরি ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের গ্রাহক। ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি ওজোপাডিকো এবং ওই কারখানার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মিটার ও এনক্লোজার বক্সের টিটি সিল করা হয়। যার ভেতর ও বাইরের নম্বর একই। গত বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানমের নেতৃত্বে ওই কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ওজোপাডিকোর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীব এ সময় আদালতকে সহযোগিতা করেন। তারা কারখানা পরিদর্শনের সময় টিটি সিল নম্বরে ভিন্নতা খুঁজে পান। কিন্তু গ্রাহক অপরাধ স্বীকার না করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মামলা করার লিখিত নির্দেশনা দেন।

ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবুক্ত গীন বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে কারখানায় প্রতি মাসে গড়ে ২৪ হাজার ২০৩ ইউনিট বিদ্যুত ব্যবহার হয়। অথচ চলতি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রতি মাসে বিদ্যুত ব্যবহার হয় গড়ে ১০ হাজার ৪৩৯ ইউনিট। বিদ্যুৎ ব্যবহারের এই পার্থক্য দেখে সন্দেহ ঘনীভূত হয়। কারখানার ব্যবস্থাপক মকবুল হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কারখানাটি রবিউল হকের নতুন মালিকানায় আসার পর থেকে তিনি ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১০ সালের পর থেকে আজমল হোসেন মিলন ও যশোরের এক মালিক মিল পরিচালনা করেন। বর্তমানে কারখানার উৎপাদন অর্ধেক কমে যাওয়ায় বিল কম হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।