জীবননগরে সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টির অভিযোগ

জীবননগর ব্যুরো: আহলে হাদিস তথা লা-মাজহাবীর নামে নামাজসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইসলাম ধর্মের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে জীবননগর উপজেলায় কর্মরত সরকারি এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সরকারি এ কর্মকর্তা রুটিন করে সঙ্গীসহ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে যেয়ে ইসলামের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী এমন বইসব বিতরণসহ ইমামগণের সাথে বাহাসে লিপ্ত হচ্ছেন। এমন অভিযোগ এনে উপজেলা প্রশাসনের নিকট শাস্তি দাবি করেছে জীবননগর উপজেলা ওলামা পরিষদ ও ইমাম সমিতি। গতকাল বুধবার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর করা অভিযোগে ওলামা পরিষদ ও ইমাম সমিতি জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন উপজেলা আলিম মাদরাসার শিক্ষক আলিউজ্জামানকে সাথে নিয়ে গত ৬ নভেম্বর জীবননগর বড় মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে যান। এ সময় তিনি নামাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইমাম হাফেজ মাও. মুহাম্মদ ইকবাল হুসাইনের সাথে তর্কে লিপ্ত হন। বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত নামাজীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। জীবননগর উপজেলা ওলামা পরিষদ ও ইমাম সমিতির সাথে উক্ত ব্যক্তিদের সাথে কোরআন ও হাদিসের প্রমানাদি নিয়ে গত ৯ নভেম্বর মতামত তুলে ধরার দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু এ দিন ওলামা ও ইমামগণ উপস্থিত হলেও আহলে হাদিসের অনুসারী ডা. আনোয়ার হোসেন সঙ্গীসহ সেখানে উপস্থিত না হয়ে তিনি বিভিন্ন কথা বলে চলেছেন। ফলে ওলামা ও ইমামদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আগেই তদন্ত পূর্বক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজ বলেন, তিনি জীবননগর উপজেলা ওলামা ও ইমাম পরিষদের নিকট থেকে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছেন। যেহেতু সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। সেহেতু বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন এবং দ্রুত উভয় পক্ষ ডেকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।