মেহেরপুর-ঝিনাইদহে বিএনপি-জামায়াতের ৯৫ নেতাকর্মী আটক

 মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক মীর ফারুক হোসেন ও সদর উপজেলা বিএনপির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আনারুল ইসলামসহ বিএনপি-জামায়াতের ৫৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে জেলার ৩ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।

মেহেরপুর থানা পুলিশ তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ২৬ জন, মুজিবনগর থানা পুলিশ ১৭ এবং গাংনী থানা পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে। মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, নাশকতা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে ৩ থানা পুলিশের অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন আগের নাশকতা মামলার সাথে জড়িত রয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে আটক সকলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত শিবিরের ৯ নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মামলায় মোট ৩৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। সদর উপজেলা থেকে ১৯, শৈলকুপায় উপজেলায় ৮, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩, কোটচাঁদপুর উপজেলায় ১, মহেশপুর উপজেলায় ৩ ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় ৫ জনকে আটক করা হয়।

ঝিনাইদহ ডিএসবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম ইকবাল আহম্মেদ জানান, পুলিশের নিয়মিত অভিযানে ৩৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন জামায়াত শিবিরকর্মী রয়েছেন। আটক জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা হলেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের ঠাণ্ডু আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৫০), একই গ্রামের তোফাজ্জেল মণ্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), সোবাহান উদ্দীনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪৫), ইজাল উদ্দীন (৪৮) সোহাগপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে রিয়াজ উদ্দীন (৫৫), শৈলকুপা থানার গোপালপুর গ্রামের খোরশেদ মোল্লার ছেলে আফজাল হোসেন (২৫), সিদ্ধি গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে নিজাম উদ্দীন (৬০), কোটচাঁদপুর থানার ফুলবাড়ি গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে ইসরাইল হোসেন ও মহেশপুর থানার জমিদারপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আব্দুল জব্বার (৩২)। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহর আলী শেখ জানান, নাশকতা প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে। এদিকে ঝিনাইদহে নতুন করে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পুলিশ বলছে, অভিযানের সময় কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে না। প্রকৃত অপরাধীরা ও বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের আটক করা হচ্ছে।