স্টাফ রিপোর্টার: দেশের ৮০ শতাংশ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। সংগঠনের পক্ষ থেকে তারা গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গায় খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ করেন।
গতকাল শনিবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার তিন তলায় সমাবেশের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মিউনিসিপ্যালিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (ম্যাব) খুলনা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। সমাবেশে খুলনা বিভাগীয় ৩৬ পৌরসভার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি নির্বাহী প্রকৌশলী আয়ুব আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র মীর মহিউদ্দিন, দর্শনা পৌর মেয়র মহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব কে.জি.এ মাহমুদ, উপদেষ্টা নুরুল হুদা, রফিকুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি রঞ্জন কান্তি গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান।
বক্তারা বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। ফলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অবিলম্বে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) ও গ্রাচুইটি শতভাগ সরকারের রাজস্ব তহবিল থেকে প্রদানসহ পেনশন প্রথা চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার স্টাফ সানোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবু বক্কর বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেন সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম এবং ইপিআই সুপারভাইজার আলী হোসেন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নারী ও পুরুষ কাউন্সিলরগণ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলেনা। আমরা কীভাবে চলেছি, কীভাবে চলছি এবং আগামীতে কীভাবে চলবো তা আমাদেরকেই ঠিক করে নিতে হবে। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি আদায় করতে হবে।