দর্শনা হরিজন প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ আসামি আরজুকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

দর্শনা অফিস: দর্শনা কাস্টমসের আবাসিক কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত ঘরে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিবন্ধী কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত ধর্ষক। অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার পরিবারের হুমকিধামকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে ধর্ষিতা এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এরই মধ্যে ধর্ষিতার পাশে দাঁড়ালো সিডিএফ এবং ফেয়ার। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা হরিজন ঐক্য পরিষদের আয়োজনে কেরুজ আমতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভকারীরা দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে এসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে বক্তব্যকালে হরিজন নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে অভিযুক্ত ধর্ষক সাকিব আল হাসান ওরফে আরজুকে গ্রেফতারের দাবি জানান। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আরজুকে পুলিশ গ্রেফতার না করলে আন্দোলন কর্মসূচির আভাস দেন নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর কাউন্সিলর এনামুল কবির, জাতীয় পার্টি নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম সুজন, কেন্দ্রীয় হরিজন সম্প্রদায়ের সাংগঠনিক সম্পাদক পান্নালাল বাঁশফোড়, দামুড়হুদা উপজেলা হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি রাম বাঁশফোড়, সাংগঠনিক সম্পাদক জিতেন বাঁশফোড়, কেএম আলাম জনি প্রমুখ। এদিকে হরিজনদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের খবর পেয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার এসআই আব্দুল কাইয়ুম, এসআই নাসিরুল ইসলাম ও দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই ফেরদৌস ওয়াহিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কেরুজ আমতলা হরিজন পট্টিতে যান। সেখানে হরিজন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথে আলোচনাকালে আরজুকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের আশ্বাস দেয়ায় আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। দর্শনা কাস্টমস সার্কেলের আবাসিক কোয়ার্টারের হরিজন সম্প্রদায়ের ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে প্রতিবেশী মুন্নার ছেলে আরজু মুখ চেপে ধরে নিয়ে পরিত্যক্ত একটি ভবনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর থেকেই আরজু গাঢাকা দিয়েছে। এ কথা কাউকে বললে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে খুন করার হুমকি দেয় আরজু। এ নিয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অবশেষে দামুড়হুদা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে দামুড়হুদা থানায় ধর্ষক আরজুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার বাদী হয়েছেন ধর্ষিতার মা। মামলা দায়েরের পরপরই ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাইয়ুম বলেছেন, ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো আমাদের হাতে আসেনি। তবে আরজুকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।