ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার রংপুর-গোপালনগর সড়কে একদল ছিনতাইকারী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ও কুপিয়ে তিন গরুবিক্রেতার নিকট থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়া মামলার ২নং আসামি নুরুজ্জামান গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকা থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গত ৮ জুলাই বুধবার আলমডাঙ্গা পশুহাটে গরু বিক্রি করে পাউয়ারটিলারযোগে বাড়ি চিৎলায় ফেরার পথে তিন গরুবিক্রেতা ছিনতাইয়ের শিকার হন। এদের মধ্যে একজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার চিৎলা গ্রামের ১০-১২ জন গরুব্যবসায়ী গরু বিক্রি করে ফিরছিলেন। ৮ জুলাই রাত পৌনে ৮টার দিকে খাদিমপুর ইউনিয়নের রংপুর-গোপালনগর সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছুলে ১৫-১৬ জনের একদল ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের গতিরোধ করে। প্রথমেই মারপিট করে ত্রাস সৃষ্টি করতে থাকে। চিৎলা গ্রামের মদনের ছেলে ছেদের আলীর নিকট থেকে ৫৬ হাজার টাকা, একই গ্রামের নিয়ামতের ছেলে আব্দুস ছাত্তারের কাছ থেকে ৪৮ হাজার টাকা ও ইছাহকের ছেলে আনোয়ারের নিকট থেকে ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এ সময় ডাকাতদলের অস্ত্রের কোপে চিৎলার ইছাহকের ছেলে আনোয়ার গুরুতর জখম হন। ছিনতাইয়ের শিকার গরু বিক্রেতারা বলেন, ছিনতাইকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে তারা চিনে ফেলেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে আলমডাঙ্গা থানায় ওই গরুব্যবসায়ীরা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ইতঃপূর্বে গুগার নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই মামলার ২নং আসামি নুরুজ্জামান। এছাড়াও গত ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার আলমডাঙ্গার ভালাইপুর-হাটবোয়ালিয়া সড়কের হরের বাগানের কাছে গাছ ফেলে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় তারা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ডাকাতি সংঘটিত কালে আলমসাধুচালকরা এক ডাকাতকে চিনে ফেলে। সে থানা গাংনীর আড়পাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে নান্নু। তাকে গোকুলখালী বাজার থেকে ধরে আসমানখালী পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে আসমানখালী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই রবিউল ইসলাম জানান, কথিত মাস্টার দলের ডাকাত সদস্য নান্নুর বিরুদ্ধে ৩টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। নান্নুকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। নান্নুর স্বীকারাক্তিতে বেরিয়ে আসে নুরুজ্জামানের নাম। গতকাল আসমানখালী বড়গাংনী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম ও আলমডাঙ্গা থানার এসআই আফজাল হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ২নং আসামি উপজেলা শিবপুর গ্রামের ময়নুল ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। নুরুজ্জামানের বিরুদ্বে আলমডাঙ্গা থানা ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা সদর ও মেহেরপুর সদর থানায় একাধিক মামলা আছে। আজ নুরুজ্জামানকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।