মানববন্ধনে উপস্থিত থাকায় নাখোশ আলমডাঙ্গার ইউএনও? মাসিক সভার উপস্থিতিপত্রে স্বাক্ষর করতে পারেননি ১৭ দপ্তরের কর্মকর্তা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে পরিষদের সভায় উপস্থিত থাকার পরও উপজেলার ১৭টি দফতরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিপত্রে স্বাক্ষর করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি, নন ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস’র জেলা শাখা আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগদান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইউএনও এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। আজকের মধ্যে স্বাক্ষরের সুযোগ না দিলে উপজেলার ১৭টি দফতরের কর্মকর্তারা নির্বাহী অফিসারের সকল সভা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

উপজেলার একাধিক দফতরের অফিসার অভিন্ন ভাষায় অভিযোগ করেছেন, নতুন বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পূণর্বহাল , উপজেলায় ইউএনও’র কর্তৃত্ব বাতিল ও কৃত্য পেশাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়ে তোলাসহ ৬ দফা দাবিতে সারা দেশের মত গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গায়ও পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন কর্মসূচি ছিলো। প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি, নন ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস’র অন্তর্ভূক্ত উপজেলার ১৭টি দফতরের কর্মকর্তার ওই কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কথা। এদিকে তাদের এ মানববন্ধন কর্মসূচি যাতে সফল না হয়, সেজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ কামরুল হাসান উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সভা একই দিনে নির্ধারণ করেন। এ সভার চিঠিও তিনি একদিন আগে অর্থাৎ গত মঙ্গলবার তড়িঘড়ি করে ছেড়েছেন। অনেকে সে চিঠি পাননি বলেও অভিযোগ করা হয়। সভা বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। এদিকে একই দিনে মানববন্ধন কর্মসূচি থাকায় ১৭ দফতরের কর্মকর্তারা নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই উপস্থিত হন বলে দাবি করেন। তারা অভিযোগ করেন তারপরও নির্বাহী অফিসার সময়মতো সভা শুরু করেননি। গড়মসি করতে করতে অনেক পরে শুরু করেন। যাতে আর মানববন্ধন না করতে পারেন কর্মকর্তারা। বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলার সভা থেকে ১৭ দফতরের কর্মকর্তারা সভার সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দেন। পরে মানববন্ধন শেষে ফিরে ওই কর্মকর্তারা পূনরায় সভায় যোগদান করতে যান। কিন্তু উপজেলা সভার কোঅর্ডিনেটর নির্বাহী অফিসার তাদেরকে জানান, সভা শেষ হয়ে গেছে। আপনাদের অনুপস্থিতি দেখিয়ে মন্ত্রণালয়ে লিখিত দেব। আপনারা রাষ্ট্রদ্রোহি কাজ করেছেন বলে প্রতীয়মান হবে। সে সময় কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং সভার সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে কিছু সময় অনুপস্থিত শেষে পুনরায় সভায় উপস্থিত হয়েছেন জানিয়ে স্বাক্ষরপত্রে স্বাক্ষর করতে চাইলে তিনি স্বাক্ষর করতে দেননি বলে অভিযোগ করেছেন। তারা জানান, প্রতিটি সভায় প্রথমেই উপস্থিতির স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হলেও পূর্বপরিকল্পনামাফিক শুধু গতকালের সভায় শেষে স্বাক্ষর নেয়া হয়। এদিকে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্বাক্ষর করতে না দিলে ১৭টি দফতরের কর্মকর্তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সকল সভা বর্জন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে ১৭টি দফতরের কর্মকর্তারা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীনের নিকট গিয়ে তাকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি আজ বৃহস্পতিবার তাদের স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।