আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা কাবিলনগরের সলোক হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে খাসকররা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খাসকররা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তাফসির হোসেন লালের নেতৃত্বে এলাকাবাসী গতকাল বিকেলে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নিহত সলোকের পিতা শামসুল ইসলাম, ডাউকি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রানা, খাসকররা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রুহুল আমীন, মিলন, শাহিন, আওয়ামী লীগ নেতা আরজান আলী, খাসকররা বাজার কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, খাসকররা ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম, শামীম, আবদার, ওবায়দুর রহমান, হারেজ উদ্দিন, সবুজ, আব্বাস মাস্টার, বেল্টু, রিপন, শরিফ, আনিসুর রহমান, ফারুক, আকরাম হোসেন, আশা, ওল্টু, ডা. আশরাফুল, সেলিম, গোলাম সরোয়ার গামা, কামরুল হাসান সজল, রানা, বসির, সাঈদ, টিপু, রাজা, শাহাবুল, অনুহার, আলম, খাইরুল ইসলাম, চানু, ঠাণ্ডু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা উপজেলার কাবিলনগরের সলোককে ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় মোবাইলফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে পরিবারের নিকট চাঁদা দাবি করা হয়। পরে ৮ অক্টোবর সরোজগঞ্জ-বোয়ালিয়ার নবগঙ্গার শাখা নদী থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা মামলায় কাবিলনগরের মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে লাল্টুসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। লাল্টু আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজেকে হত্যা ষড়যন্ত্রে জড়িত স্বীকারোক্তি দিয়ে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।
কাবিলনগর গ্রামের কিশোর সলোক হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি একই গ্রামের মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে লাল্টুকে (৫৫) গত ৯ অক্টোবর আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত পরশু ১০ অক্টোবর তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় সে নিজেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সে জানায়- সলোকের বাপের সাথে তার সৎ বাপ আশির উদ্দীন ও সৎভাই শরিফুলের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিলো। আর এ বিরোধের বলি হতে হল নিরীহ কিশোর সলোকের। আদালতে জবানবন্দি দিতে গিয়ে লাল্টু অকপটে স্বীকার করেছে- সলোকের সৎ চাচা শরিফুল এলাকার চাঁদাবাজ-অপহরণকারী গ্যাংগ্রুপের নেতা তিওরবিলা গ্রামের ফারুককে দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ফারুক ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে অন্যান্যের মধ্যে কাবিলনগর গ্রামের লাল্টু, সলোকের সৎ চাচা শরিফুল, শফি, কালুসহ আরও কয়েকজন জড়িত বলে স্বীকার করে সে। হত্যাকারীদের মধ্যে এ পর্যন্ত লাল্টু ও মূল হত্যাকারী ফারুক এখন জেলহাজতে। সম্প্রতি ফারুক রায়সার কৃষক জামাল হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। বাকি আসামিরা পলাতক। পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানানো হয় মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে।