বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের গ্রামের অধিকাংশ চায়ের দোকানে তাস খেলার নামে চলছে নীরব জুয়ো খেলা। আর এসব খেলায় অংশ নিচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ঘরের বেকার, দিনমুজুর এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া যুবকেরা। ফলে একদিকে যেমন পরিবারে বইছে অশান্তি অপরদিকে ঘটছে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নে রয়েছে ২১টি গ্রাম তিতুদহ ইউনিয়নে রয়েছে ২৬টি গ্রাম। এসব গ্রামে রয়েছে চায়ের দোকান। আর চায়ের দোকানের সামনে অথবা পেছনে দোকানিরা তাদের বেচা বিক্রির স্বার্থে বিছানা এবং চট পেড়ে দিয়ে সুযোগ করে দেন তাস খেলার। আর কোনো কোনো দোকানে তাস খেলার নামে চলে জুয়ো খেলা। প্রথমে চা-বিস্কুট আর সিগারেট বাজি ধরে। পরে তা রূপ নেয় জুয়ো খেলায়। যেখানে হারজিত হয় মোটা অঙ্কের টাকা। নাওয়া খাওয়া ফেলে এসব খেলায় অংশ নেই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ঘরের বেকার, দিনমজুর ও মাধ্যমিকে ঝরে পড়া যুবকেরা। সারাদিন খেলা শেষ করে বাড়ি ফিরলে পরিবারের সদস্যরা সারাদিন কোথায় ছিলে জিজ্ঞাসা করতেই সংসারে শুরু হয় অশান্তি। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশের সদস্যরা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে। বিশেষ করে হিজলগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধxন গ্রামগুলোর চা দোকানে তাস খেলে বেশি দেখা যায়। অপরদিকে দিনে বসা তাস খেলার আসরটি রাত পর্যন্ত গড়িয়ে নির্জন জায়গায় গিয়ে রূপ নেয় বড় জুয়োর আসরে। তাই ইউনিয়ন দুটির যে সমস্থ চায়ের দোকানে বসে তাস খেলা তা বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগি অভিভাবকেরা। বিষয়টির প্রতি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।