স্টাফ রিপোর্টার: নুরুল হাসানকে ১৮২ রানে অপরাজিত রেখে ইনিংস ঘোষণা করেছে খুলনা। তবে দলের জয়ের জন্য নিজের সম্ভাব্য দ্বিশতক হাতছাড়া হওয়ার পরও আক্ষেপ নেই এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের। ফতুল্লায় জাতীয় লিগের প্রথম স্তরের ম্যাচটির প্রথম দিনে ১১৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলো খুলনা। সেই দলটিই ভোজবাজির মতো পাল্টে গেল দু দিনের ব্যবধানে। তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা ৭ উইকেটে ৫০৬ রানে! আগের দিনই শতক করেছিলেন ওপেনার মেহেদি হাসান। গতকাল সোমবার ১৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন নুরুল হাসান, শতক করেছেন এনামুল হকও। আর জিয়াউর রহমানের ব্যাটে ছিলো চেনা ঝড়। ৪৭০ রানের পর্বতসমান লক্ষ্যে নেমে ঢাকা তৃতীয় দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৩৭ রানে। চা-বিরতির সময় ১৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন নুরুল। ইনিংস ঘোষণা নিয়ে সে সময় তার সাথে কথা বলছেন অধিনায়ক রাজ্জাক। দিনের খেলা শেষে নুরুল জানালেন, অধিনায়ককে ভাবতে বলেছিলেন দলের কথাই, আমি রাজ ভাইকে বলেছিলাম, আপনার যখন ঠিক মনে হবে, ইনিংস ঘোষণা করে দেবেন। আমার রানের দিকে তাকাতে হবে না। দলের জয়টাই আসল। চা-বিরতির পর ইচ্ছে করেই সময়ক্ষেপণ করছিলো ঢাকা। আম্পায়ার আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্কও করে দেন তাদের। খানিক পরই আসে খুলনার ইনিংস ঘোষণা। ১৯ চার ও ১ ছক্কায় ২২৩ বলে ১৮২ করে অপরাজিত থেকে যান নুরুল। এনামুল ও নুরুল উইকেটে জমে গিয়েছিলেন আগের দিনই। গতকাল সোমবার দুজনের ব্যাটিঙে ছিলো উল্টো সুর। উইকেট আঁকড়ে রাখার চিরায়ত টেস্ট ব্যাটিঙের পথ বেছে নিয়েছিলেন এনামুল। নুরুল ব্যাট করেছেন সহজাত ওয়ানডে মেজাজে।
জাতীয় দলের পর ‘এ’ দল থেকেও বাদ পড়া এনামুল প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দশম শতক ছুঁয়েছেন ২৬৬ বলে। পরের বলেই অবশ্য শেষ হয়েছে তার ৫ ঘণ্টার লড়াই। নুরুলের সাথে চতুর্থ উইকেটে জুটি ছিলো ১৫৩ রানের। জিয়াউরকে নিয়ে নুরুলের পরের জুটিতে রান এসেছে ১৫৪ রান। ওভার প্রতি রান তুলেছেন দুজনে প্রায় পাঁচ করে। ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৯ করে আউট হয়েছেন জিয়া। নুরুল ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক ছুঁয়েছেন ১৩৪ বলে। আগের সর্বোচ্চ ১১৫ রান পেরিয়ে এগিয়ে যান আরও অনেকটা দূর। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করলেও শেষ পর্যন্ত দ্বিশতক পাওয়া হলো না।
অধিনায়কের ইনিংস ঘোষণার উদ্দেশ্য অবশ্য সফল হয়েছে। তৃতীয় দিনেই ঢাকার দুটি উইকেট তুলে নিয়েছে খুলনা। দিন শেষে সেটিও তৃপ্তি দিচ্ছে নুরুলকে, যে জন্য ইনিংস ঘোষণা করা হয়েছিলো, সেটি আমরা করতে পেরেছি। ওদের দুটি উইকেট নিতে পেরেছি। আশা করি কালকে (মঙ্গলবার) জয়টাও পাবো।