আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ওসমানপুরে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ঘটনার রাতেই ৫ জনকে আটক করেছে। ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া মামলা তুলে না নেয়ায় অপহৃত ছাত্রীর বাড়িতে গত শুক্রবার রাতে বোমা হামলা চালায় এলাকার গ্যাংগ্রুপ প্রধান আশরাফুল। এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ আশরাফুলকে গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ওসমানপুরের বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ঘটনার রাতেই অর্থাৎ গত শুক্রবার দিনগত রাতে ৫ জনকে আটক করেছে। এরা হল- লক্ষ্মীপুরের মৃত ভাদু মণ্ডলের ২ ছেলে হোসেন আলী (৩০) ও ঈমান আলী (২৭), নূরুল ইসলামের ছেলে পলাশ হোসেন (২৪), ইবার উদ্দীনের ছেলে কাবের আলী (২০) ও মনছের আলীর ছেলে শহিদ হোসেন (৪২)। গতকাল শনিবার তাদেরকে বিস্ফোরক আইনসহ সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ২ সন্তানের জনক আশরাফুল। গত ২ অক্টোবর গভীর রাতে আশরাফুল ইসলাম সদলবলে পার্শ্ববর্তী ওসমানপুর গ্রামের শুকুর আলীর বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। সে সময় তারা অস্ত্রের মুখে শুকুর আলী, তার স্ত্রী ও বড় ছেলেকে জিম্মি করে তার ১৩ বছর বয়সী মেয়ে রুমি আক্তারকে তুলে নিয়ে যায়। রুমি আক্তার ওসমানপুর-লক্ষ্মীপুর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় অপহৃতের ভাই লিটন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই অপহরণ মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো আশরাফুল গং। এরই এক পর্যায়ে গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আশরাফুল বাহিনী অপহৃত মেয়ের বাড়িতে বোমা হামলা চালায়। এলাকায় বহু অঘটনের নায়ক আশরাফুল বিবাহিত। তার ঘরে বর্তমানে স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। ইতঃপূর্বেও সে একাধিক বিয়ে করেছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও এলাকায় গ্যাংগ্রুপ সৃষ্টি ও নেতৃত্ব দিয়ে চাঁদাবাজি ও ধর্ষণসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে সে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পলাতক।