হত্যার গুঞ্জনে লাশ পুলিশ উদ্ধার করলেও আপসে হলো না ময়নাতদন্ত
আলমডাঙ্গা ব্যুরো/জামজামি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নওদাপাড়ার গৃহবধূ লতা খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। থানায় উয়ভপক্ষের সমঝোতার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই সন্ধ্যায় পিতাপক্ষের কাছে লতার মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। গুঞ্জন উঠেছে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়ার পর স্বামীপক্ষ আড়াই লাখ টাকায় গৃহবধূ লতার পিতার সাথে আপস করে নেয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা বেলগাছি গ্রামের সাহাজ্জেদ আলী সুদ্দুর মেয়ে লতা খাতুনের (২২) বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে মহোর আলীর সাথে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন। মহোর আলীর শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কথা রয়েছে। সেজন্য তাকে বেশ কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে। মহোর আলী শ্বশুরের নিকট থেকে চাকরির জন্য আড়াই লাখ টাকা নিয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। মহোর আলী আরও টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় লতার পিতা। গত ৫ দিন আগে লতা খাতুন তার বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফিরে আসে।
লতার চাচাতো ভাই স্বপন জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোবাইলেফোনে লতার শ্বশুরবাড়ির লোক জানায় লতা গুরুতর অসুস্থ, দেখতে চাইলে নওদাপাড়ায় আসেন। এ কথা শুনে লতার স্বজনরা ছুটে যায় লতাকে দেখতে। তাদের উপস্থিতিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করে লতা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সন্দিহান হয়ে লতার বাবা এটা হত্যাকাণ্ড বলে দাবি তুলে ধরেন। নানামুখি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দ্রুত সটকে পড়ে জামাই মহোর আলী। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নেয়। এ সময় লতার স্বামীপক্ষ আড়াই লাখ টাকায় লতার পিতার সাথে আপস করে বলে অভিযোগ উঠে। এ সম্পর্কে লতা খাতুনের পিতা সুদ্দুর আলী জানান, তারা আত্মীয়, সে কারণেই সবকিছু মিটিয়ে ফেলেছে। সন্ধ্যায় থানা থেকে লাশ দাফনের জন্য ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়।