কোরবানির জন্য প্রস্তুত দেড়লাখ গরু-ছাগল

চুয়াডাঙ্গায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কামারশালার শ্রমিকেরা

 

রফিকুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গায় কোরবানির আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। কোরবানির ধারালো অস্ত্র শান দিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামাররা। তবে ধারালো অস্ত্রের দোকানিদের দাবি এ বছর তেমন বেচাকেনা নেই। এদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগ এ বছর জেলার চারটি পৌর এলাকায় ১১৬টি পয়েন্টে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য জায়গা নির্ধারণ করেছে।

ধারালো অস্ত্রের দোকানদাররা জানান, গত ৩০ বছর ধরে তিনি এ ধরনের অস্ত্রপাতির ব্যবসা করেন। অতীতের যেকোনো বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা খুবই কম। চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের দোকানি শেখ আমিনুল ইসলাম জানান, জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেচাবিক্রি হচ্ছে না। পৌর কলেজপাড়ার কামার নাসির উদ্দিন জানান, এখনও পর্যন্ত কাজ তেমন জমেনি। তবে আশা করা যায় দু-একদিনের মধ্যেই কাজ বাড়তে পারে। অস্ত্র ধার করতে আসা ইসলামপাড়ার গোলাম মোস্তফা জানান, বছরের অন্য সময় ধার দিতে ২০ টাকা নিলেও এখন তা দ্বিগুণ নেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার পাল জানান, এ বছর জেলায় ৫৬ হাজার গরু-মোষ ও ৯৪ হাজার ছাগল কোরবানির জন্য খামারীরা প্রস্তুত করে। গরু মোটাতাজাকরণে জেলায় ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়নি। যদি কোনো ফার্মেসিতে রাসায়নিক ওষুধ পাওয়া যায় তাহলে আইনে সোপর্দ করা হবে। জেলার সবকটি পশুহাটে গরুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টীম গঠন করা হয়েছে। ঈদের দিনও এই টিম কাজ করবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ এ বছর জেলার চারটি পৌর এলাকায় ১১৬টি পয়েন্টে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য জায়গা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ১৮টি, আলমডাঙ্গা পৌরসভায় ৪৫টি, দর্শনা পৌরসভায় ২৭টি ও জীবননগর পৌরসভায় ১৮টি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।