অটোচালককে কুপিয়ে জখম করেছে ধারালো অস্ত্রধারী একদল যুবক

হাসপাতালের সামনে থেকে ভাড়ায় নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের এক যুবককে ধরে মারপিট দেখে অটো থামিয়ে বিপত্তি

 

স্টাফ রিপোর্টার: লেখাপড়ার পাশাপাশি অটো চালিয়ে সংসারে সহযোগিতা করে আসছিলো তোফাজ্জেল হোসেন রিংকু। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অন্যায়কে সমর্থন করতে না পারায় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও তার ভাড়ায় নেয়া অটোরিকশা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে ৫-৬ জনের একদল ধারালো অস্ত্রধারী যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের পাসপোর্ট অফিসের অদূরে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় কেডিসিপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন রিংকু ভোকেশনালের ছাত্র। সংসারের অভাব ঘোচাতে এবং লেখাপড়ার খরচ জোগাতে সে চুয়াডাঙ্গা মাস্টারপাড়ার আসলামের নিকট থেকে অটো ভাড়া নিয়ে শহরে ভাড়া মেরে বেড়াতো। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে রিংকু অটো নিয়ে অবস্থান করছিলো সদর হাসাতালের সামনে। ৪-৫ জনের একদল যুবক রিংকুর অটোতে ওঠে। পাসপোর্ট অফিসের নিকট যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর যুবকদল নেমে গুলশানপাড়ার পারভেজকে টেনেহেঁচেড়ে অটোতে তোলে। মারতে শুরু করে। দৃশ্য দেখে অটোচালক রিংকু আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে যুবকদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখে অটো না চালিয়ে থামিয়ে দেয়। যুবকদল রিংকুকে কুপিয়ে জখম করে। চাপাতির কোপটি লাগে বাম হাতে। হাড়সমেত কেটে যায় হাতের একাংশ। তাকে উদ্ধার করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। অপরদিকে পারভেজ সুযোগ বুঝে সটকে পড়ে।

তোফাজ্জেল হোসনে রিংকুকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি তাকে ঢাকার পঙ্গুতে নেয়ার পরামর্শ দেন সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউ রহমান নয়ন। অবশ্য অর্থাভাবে তোফাজ্জেল হোসেন রিংকুকে গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা পঙ্গু তো দূরের কথা রাজশাহী মেডিকেলও নেয়া সম্ভব হয়নি। অবশ্য রফিকুল ইসলাম নামের এক যুবক ১২শ টাকা দিয়ে তাকে রাজশাহী নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়েছেন।