চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের প্রতিবাদ বিবৃতির প্রতিবাদে বিবৃতি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের প্রতিবাদ বিবৃতির প্রতিবাদে প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলেছেন, গত শনিবার বিকেলে যুবসমাজের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের অবৈধ কমিটি বাতিল ও সন্ত্রাস বোমাবাজির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্থানীয় শহীদ হাসান চত্বরে জনসভায় উপস্থিত জনতার ঢল দেখে অবৈধ আহ্বায়ক ও যুগ্মআহ্বায়ক মিথ্যাচার ও পাগলের প্রলাপ বলে চলেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা যুবসমাজের উদ্যোগে জনসভা তথা জেলা যুবলীগ থেকে দাবি করে যারা প্রকৃত রাজনীতি করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যারা রাজনীতি করে তারা কখনও রাজপথের পরিশ্রমী যুবনেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের আওয়ামী যুবলীগে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না এ ধরনের কথা একজন রাজনীতির বাইরের লোক ছাড়া এ কথা আশা করা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শেখ হারুন আর রশিদ সম্পর্কে যে মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত জিপু ও জিল্লুর স্বাক্ষরিত যে বিবৃতি দেয় তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও পাগলের প্রলাপ। যুবসমাজের এ প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ ধরনের আপত্তিকর কোনো কথা বলা হয়নি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

২০০৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার জেলা যুবলীগের বৈধ আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জুর কমিটির ২৭তম কার্যকরী সক্রিয় সদস্য থেকে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম রাজপথে দায়িত্ব পালন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এতে প্রমাণ করে জিপু ও জিল্লু যে মিথ্যা গল্প বানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে তার এ মিথ্যা তথ্যকে সকল যুবলীগ নেতাকর্মীকে কর্ণপাত না করার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা দূঢ়তার সাথে বিশ্বাস করি অবৈধ আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক জিপু তার অতীতের রাজনীতির ভূমিকা কি ছিলো তা সবাই জানে। বিগত এরশাদ হঠাও আন্দোলনে যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অস্ত্র দিয়ে হত্যা করার জন্য প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছিলো তখন তৎকালীন জাতীয় পার্টির ছাত্রসমাজের নেতা জিপুর ভূমিকা ছিলো আওয়ামী লীগের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তাছাড়া নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বেই বর্তমান যুবলীগ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। গঠনতন্ত্র মোতাবেক একই আহ্বায়ক কমিটি দু বার থাকাটা অবৈধের শামিল।

নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার যে যুবলীগের সক্রিয় সদস্য তার প্রমাণ নথিও প্রতিবাদ বিবৃতির সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।