স্টাফ রিপোর্টার: বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণা এ চার জেলা নিয়ে দেশের অস্টম এ বিভাগ গঠিত হবে। ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৯ হাজার জনসংখ্যার ময়মনসিংহ বিভাগের আয়তন হবে ১০ হাজার ৫৮৪ বর্গকিলোমিটার।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় এ প্রশাসনিক বিভাগ গঠনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, নতুন এ বিভাগে সবার আগে হবে বিভাগীয় কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি পুলিশের অফিস। পর্যায়ক্রমে অন্য সব অফিসের কার্যালয়ও পাবে ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণার সাথে টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলা রেখে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের প্রস্তাবে গত ২৬ জানুয়ারি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিলো মন্ত্রিসভা। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনে টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জকে ঢাকার সাথেই রাখা হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে জেলা ছিলো ১৭টি। নতুন বিভাগ হওয়ায় ১৩ জেলা নিয়ে ঢাকা বিভাগকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। ঢাকা বিভাগকে ভেঙে ফরিদপুর নামে একটি বিভাগ এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলা নিয়ে আরেকটি বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্তও সরকারের রয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার সদরসহ কিছু এলাকা নিয়ে ভাণ্ডারিয়া পৌরসভা গঠন প্রস্তাব নিকার সভা অনুমোদন করেছে। ভাণ্ডারিয়া হবে দেশের ৩২৪ তম পৌরসভা। বর্তমানে দেশে ১৪৩টি ‘ক’ শ্রেণি, ১০৪টি ‘খ’ এবং ৭৬টি ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা রয়েছে।
নিন্ম আদালতের সহকারী জজ আগে দু লাখ টাকার সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন মামলার বিচার করতে পারতেন। এখন আইন সংশোধন করে সে ক্ষমতা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের ৪ লাখ টাকার আর্থিক মূল্যের বিষয়ে বিচার করার ক্ষমতা ছিলো। এখন সেটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। আপিলের ক্ষেত্রে জেলা জজ ৫ লাখ টাকার আর্থিক সম্পৃক্ততা সম্পন্ন মামলার বিচার করতে পারতেন। এখন এরূপ সিভিল মামলার ক্ষেত্রে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বিচার করতে পারবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে আগে হাইকোর্টে মামলার যে চাপ হতো সেটি কমে যাবে। বিচার দ্রুত হবে। ফলে নাগরিকদের পক্ষে কম সময়ে বিচার পাওয়া সম্ভব হবে।
কোস্টগার্ডের অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া হতো বিডিআর আইনে। বিডিআর আইন বিলুপ্ত হওয়ায় এখন ১৯৯৪ সালের সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে কোস্টগার্ডের অভ্যন্তরীন বিদ্রোহের অভিযোগের ক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।