বেগমপুর প্রতিনিধি: স্থানীয় ইউপি নির্বাচন কবে হবে তার দিনখন ঠিক হয়নি এখনও। মামলা হামলা এড়াতে ক্ষমতাসীন দলের সাথে মিশে রয়েছে ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলের লোকজন। ফলে চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মীরা রয়েছেন একেবারেই নিষ্ক্রিয়। তবে থেমে নেই স্থানীয় আ.লীগের নেতৃবৃন্দ। স্থানীয় ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে নবীন-প্রবীণ দু নেতা চষে বেড়াচ্ছেন মাঠ। দিচ্ছেন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিসহ শোডাউন।
এলাকাঘুরে জানাগেছে, ১৯৬২ সালে ৪৭ বর্গ কিলোমিটার আয়োতন নিয়ে গড়ে ওঠে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ। যার বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ হাজারের ওপরে। এ বিশাল জনসংখ্যাকে সেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় একজন চেয়ারম্যানকে। সেবার মান বাড়ানোর জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে বিভক্ত করে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ ও গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ নামে দুটি পরিষদ করার সকল কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। তবে পরিষদ হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ সময় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। বিভক্ত হতে যাওয়া গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা না থাকলেও তিতুদহ ইউনিয়ন এলাকায় জোরেশোরে বাইছে নির্বাচনী হাওয়া। কেউ কেউ মনে করেন, এখানে ঝুটঝামেলা এড়াতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ক্ষমতাসীন দলের সাথে মিশে কৌশলে পথ চলছেন। তাই অনেকটাই নিষ্ক্রিয় তারা। আগামী নির্বাচনকে টার্গেট করে আ.লীগের দু নেতা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনবারের পরাজিত চেয়ারম্যানপ্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু এবং আ.লীগের উদীয়মান নেতা শুকুর আলী চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা। উল্লেখ্য, এ দু নেতার বাড়ি একবারেই পাশাপাশি এবং সম্পর্কে দুজন মামা-ভাগ্নে। যে গ্রামের নাম অনুসারে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত, সেই গ্রামে আজ পর্যন্ত আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নির্বাচিত হননি কোনো চেয়ারম্যান। তবে এবার আশার আলো দেখতে শুরু করেছে তিতুদহ গ্রামের লোকজন। তারা মনে করেন, নবীন নেতৃত্বের দিকে ঝুঁকে পড়েছে দলীয় ভোটাররা। এদিকে জামায়াতের কোনো শক্ত প্রার্থী না থাকায় বিএনপি রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। সুযোগ বুঝে বিএনপি প্রার্থী দিলে ফলাফল আবারও হাতছাড়া হতে পারে ক্ষমতাসীন দলের। নিজেদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বই বিএনপির জয়ের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। আ.লীগ নেতা শুকুর আলী এরই মধ্যে নিজেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ, ঈদ শুভেচ্ছার ব্যানার ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্লাব গঠনের মধ্যদিয়ে তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করছেন। এদিকে নিজের উপস্থিতি ও নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে গত ৪ সেপ্টেম্বর মিজানুর রহমান টিপু তার নির্বাচনী এলাকায় দিয়েছেন শো-ডাউন। তারই পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে আজ শুক্রবার বিকেলে শুকুর আলীও ব্যাপক শো-ডাউনের বিষয়টি মাথায় নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী টিপু বলেন, শুকুর কোনো দলীয় লোক নন। তার পাশে যারা আছে তারা সব বিএনপি-জামায়াতের। দলীয় সমর্থন নিয়েই নির্বাচনের মাঠে থাকবো আমি। অপরদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শুকুর আলী বলেন, জনগণের ভালোবাসাই হচ্ছে সবকিছু। একজন মানুষ একটি মতে বিশ্বাস থাকতে পারে। আমিও আ.লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ। যা জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জানেন। তিন তিনবার লোকজন টিপুকে চেয়ারম্যান করার চেষ্টা করেছে। নতুন নেতৃত্ব চায় ইউনিয়নবাসী।