গাংনীর মাইলমারীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র দু গ্রামবাসীর মারামারি : ২০ জন আহত

খেলার মধ্যাহ্ন বিরতির সময় ভোমরদহ দলের খেলোয়াড়দের পরামর্শ দিতে গেলে কমিটির বাধা

 

গাংনী প্রতিনিধি: গাংনীর মাইলমারীতে ফুটবল খেলা চলাকালীন সময়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাইলমারী গ্রামবাসীর হামলায় ভোমরদহ গ্রামের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এলেম উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০), সবদেল ফকিরের ছেলে আব্দুল মমিন (৩৫), মানজারুল ইসলামের ছেলে সালমান হোসেন (১৮), শহিদুল ইসলামের ছেলে শিমুল (১৫), চাঁদ আলীর ছেলে জুয়েল রানাকে (১৬) গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কমিটির লোকজনের পক্ষপাতিত্বের কারণে প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, মেহেরপুর গাংনী উপজেলার মাইলমারী-ধলা ফুটবল টুর্নামেন্টের একটি খেলায় মাইলমারী ফুটবল মাঠে গতকাল বিকেলের একটি খেলায় অংশগ্রহণ করে ভোমরদহ ফুটবল একাদশ। তেঁতুলবাড়িয়ার সাথে চলা খেলার মধ্যাহ্ন বিরতির সময় ভোমরদহ দলের খেলোয়াড়দের গ্রামের একজন পরামর্শ দিতে গেলে কমিটির লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে কমিটি পক্ষের আতিয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে ভোমরদহ গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে খেলা পণ্ড হয়ে যায়।

ভুক্তভোগীরা জানান, কয়েক দিন আগে থেকে চলা টুর্নামেন্টে প্রায়ই কোনো না কোনো দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মারধর করছে কমিটি ও গ্রামবাসী। দুজন রেফারি তাদের হাতে মারধরের শিকার হয়ে তারা টুর্নামেন্ট বর্জন করেন। খেলার দিন উত্তেজনা ও বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেয়ার দাবি উঠলেও তা কর্ণপাত করছেন না কমিটির লোকজন। তবে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনার আগেই টুর্নামেন্ট বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

গাংনী থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে পুলিশের অনুমতি ছাড়া খেলা আয়োজন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরেও যদি কমিটি খেলার আয়োজন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।