কেইউপি দাখিল মাদরাসার বহিষ্কৃত সুপারের বিরুদ্ধে বেতন-বোনাসের বিল ব্যাংকে জমা প্রদানে বাধা দেয়ার অভিযোগ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কৃত আলমডাঙ্গার কেইউপি দাখিল বালিকা মাদরাসা সুপার নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও বোনাসের বিল ব্যাংকে জমাদানে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ওই মাদরাসার শিক্ষক ইকতিয়ার উদ্দীন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও ঈদ বোনাস বিল জমা দিতে আলমডাঙ্গা রূপালী ব্যাংকে গেলে মাদরাসা সুপার ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিকট থেকে জোর করে টাকা কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কেইউপি দাখিল বালিকা মাদরাসা সুপার নূর ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনায় গোবিন্দপুরের কিছু যুবক তাকে আলমডাঙ্গা শহরের আল তায়েবা মোড়ে বেধড়ক পেটায়। ঘটনাটি পরদিন একাধিক স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে মাদরাসার তৎকালীন কমিটি তাকে ওই ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতার কারণে ওই ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত হলে তিনি পুনরায় মাদরাসায় যাতায়াত শুরু করেন। পরে নতুন করে ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হলে পুণঃতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আগের কমিটির সিদ্ধান্ত বলবত রাখা হয়। অর্থাৎ সুপার নূর মোহাম্মদকে সাময়িক বরখাস্ত রাখা হয়। এমতাবস্থায় সহকারী সুপার সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গতকাল ওই মাদরাসার শিক্ষক ইকতিয়ার উদ্দীন শিক্ষক-কর্মচারীদের গত মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের বিল আলমডাঙ্গা রূপালী ব্যাংকে জমা দিতে যান। এ সময় নূর মোহাম্মদ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ইকতিয়ার উদ্দীনের নিকট থেকে বেতন ও ঈদ বোনাসের টাকা কেড়ে নেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এদিকে, গত মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের বিল জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিলো গতকাল। বেতন বোনাসের বিল কেড়ে নেয়ার ফলে কোরবানি ঈদের আগে ওই মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।