আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন হত্যামামলা সিআইডিতে
গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর বাঁশবাড়িয়া বিএম কলেজের অধ্যক্ষ বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ স্বপনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গতকাল সোমবার সকালে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে মেহেরপুর সিআইডির একটি দল। গাংনী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নুরুল আমিন হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মেহেরপুর সিআইডি পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) আফাজ আহম্মেদ।
তিনি আরো জানান, নুরুল আমিন হত্যা মামলাটি গাংনী থানা থেকে সম্প্রতি তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি। তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সন্দেভাজন আসামি হিসেবে স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদ শেষে তাকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে। আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী ফারহানা নাজনীন মুক্তি জানান, নুরুল আমিন হত্যার সময় আমার স্বামী ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এ হত্যকাণ্ডের ব্যাপারে সে নির্দোষ। স্বামীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।
২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বরে রাতে গ্রামের বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির অদূরবর্তী ঈদগার সামনে তাকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে লাশ উদ্ধারের পর তার বড় ভাই শামীম হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের নামে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই স্বপনসহ বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বিএনপি নেতাকর্মী কয়েকজনকে দায়ি করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও স্বপনকে আটকের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সিআইডি ইন্সপেক্টর আফাজ আহম্মেদ তদন্ত প্রসঙ্গে বলেন, মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে নেয়ার পর থেকেই জোরালোভাবে তদন্ত করা হচ্ছিলো। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বপনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে এমন তথ্য উপাত্ত পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও কারা হত্যাকারী তা স্পষ্ট হবে।