গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে বাল্যবিয়ের দায়ে সমাজপতিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সমনজারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন। গত বৃহস্পতিবার জারিকরা সমনে আগামি ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাদেরকে স্বশরীরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। বাল্যবিয়ের সাথে জড়িতরা হচ্ছেন- সমাজপতি লাল্টু মিয়া, গোলাম মোস্তফা, আনারুল ইসলাম, নাহারুল ইসলাম, মাও. ওমর আলী, বরের পিতা জিন্নাত আলী ও কনের পিতা শরিফুল ইসলাম। প্রেমসম্পর্কের জেরে গত রোববার রাতে ভবানীপুর গ্রামের প্রবাসী জিন্নাত আলীর ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাকিল (১৪) ও প্রেমিকা শরিফুল ইসলামের কন্যা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বিথীর (১৩) ঘরে প্রবেশ করলে প্রতিবেশীরা দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করার দাবি করে। পরের দিন সকালে গ্রাম্য সালিসে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
সমাজপতিরা প্রভাবশালী হওয়ায় উভয় পরিবারের লোকজন কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। একদিকে অনৈতিক কাজ চাপা দেয়া, অন্যদিকে বাল্যবিয়ে দেয়ার খবর গত ১ সেপ্টেম্বর দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশ হলে বিষয়টি নজরে পড়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের। পরে তিনি সমন জারি করেন। এ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন জানান, বাল্যবিয়ে আইনে সমাজপতি ও উভয় পরিবারের লোকজন দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, তারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকলে তাদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে পারতেন সমাজপতিরা। তারা তা না করে বাল্যবিয়ের মতো একটি অপরাধ করেছেন।