কুষ্টিয়ার গৃহবধূর শ্লীলতাহানি : আটক ১

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে দুবৃর্ত্তরা দু সন্তানের জননী উজিলা খাতুন নামের (২৭) এক গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট ও মাথার চুল কেটে শ্লীলতাহানি করেছে। এ অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ উজিলা খাতুন নরসিংদী জেলার নাসির উদ্দিনের স্ত্রী। এ ঘটনায় উজিলার পিতা মশানউত্তরপাড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, ৭/৮ বছর আগে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক নাসির ও উজিলার বিয়ে হয়। এটি উভয়েরই ২য় বিবাহ। ওই দম্পতির ২টি কন্যাসন্তান রয়েছে। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টি হলে উজিলা তার বাবার বাড়িতে চলে আসে এবং কুষ্টিয়া শহরে অপরুপা বিউটি পার্লারে কাজ নেয়। স্বামীকে রেখে উজিলা ২৪ ফেব্রুয়ারি চারমাইল বিভাগ গ্রামের নেয়াল উদ্দিনের ছেলে তারিকুল ইসলামকে বিয়ে করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ আগস্ট বিকেলে কুষ্টিয়া থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কল্যাণপুর গ্রামে তারিকুলের প্রথম স্ত্রী শিউলী খাতুন ও তার ভাইয়েরা উজিলা খাতুনকে বেধড়ক মারপিঠ ও মাথার চুল কেটে শ্লীলতাহানি করে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উজিলার পিতা রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল বাদী হয়ে তারিকুল ইসলাম (৪০) ও তার প্রথম স্ত্রী শিউলী খাতুন (৩২), একতারপুর গ্রামের মৃত রিজন খানের ছেলে সুজন (৩৩), মৃত রেজন আলী খানের ছেলে রাশেদুল হক খানের (৪০) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত এজাহারভুক্ত আসামি রাশেদুল ইসলাম খানকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আকতারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গৃহবধূর মাথার চুল কাটার বিষয়টি অমানবিক ও জঘন্যতম ঘটনা। ঘটনার ৪ দিন পরে ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।