জাতীয় মহিলা সংস্থা চুয়াডাঙ্গার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় মহিলা সংস্থা চুয়াডাঙ্গার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন সংস্থারই ৪ জন সদস্য। লিখিতভাবে দুর্নীতি ও অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে জাতীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এ নালিশ পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

জাতীয় মহিলা সংস্থা চুয়াডাঙ্গার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর নূরুন্নাহার কাকলী। সংস্থার সদস্য রাফিয়া খাতুন, শাহাজাদী মিলি, সাহিদা খাতুন মুক্তি ও ফরিদা খাতুন স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নূরুন্নাহার কাকলী চেয়ারম্যন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নানাবিধ অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতর সাথে জড়িয়ে গণমুখি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

যেসব অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, নির্বাহী কমিটিকে না জানিয়ে নিজ ভাই ও বোনের চাকরি প্রদান, কম্পিউটার, বিউটিশিয়ান ও খাদ্রসামগ্রী এ ৩টি প্রজেক্টের ভাড়া নেয়া অফিস বাবদ অনুমোদনকৃত ২৪ হাজার টাকার স্থলে মাত্র ১১ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সেলাইমেশিন প্রশিক্ষণে দু শিফটের জন্য ৩০ ছাত্রীর স্থলে ২০ জন ছাত্রী রেখে ভুয়া ১০ ছাত্রী দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। চাকরি দেয়ার নামে বিউটিশিয়ানদের ক্ষেত্রে পাস করা ছাত্রীকে বাদ দিয়ে অন্য ছাত্রীর কাছে থেকে ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করে চাকরি দেয়ার বিষয়টি গোপন থাকেনি বলেও অভিযোগ উত্থাপনকারীরা লিখিত অভিযোগে তুলে ধরেছেন।

লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, বন্যা নামের একজন বিউটিশিয়ানের চাকরি করেন, তার মূল বেতনের অর্ধেক টাকা প্রতি মাসেই আত্মসাৎ করা হয়। সেলিনা আক্তার বানু এমপি সংস্থার উন্নয়নের জন্য ২ টন গম বরাদ্দ দেন। অভিযোগকারীদের স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দকৃত গম নূরুন্নাহার কাকলী উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেছে বলেও জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।