১০০ মিটারের সোনা বোল্টেরই

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কথা রেখেছেন উসাইন বোল্ট। সমালোচনা আর শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সোনার পদক ধরে রেখেছেন জ্যামাইকার এ স্প্রিন্টার। বেইজিংয়ের বার্ড নেস্ট স্টেডিয়ামে গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিন গ্যাটলিনকে পেছনে ফেলে সোনা জিততে ৯.৭৯ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করেন বোল্ট। বছর জুড়ে ভালো দৌড়ানো গ্যাটলিন এদিন বোল্টের সাথে পেরে ওঠেননি। বছরের সেরা টাইমিং (৯.৭৪ সেকেন্ড) করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আসা গ্যাটলিন বেইজিংয়ের ট্র্যাকে তা ধরে রাখতে পারেননি। ৯.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রূপা জেতেন তিনি।
                বেইজিংয়ের ট্র্যাকে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিন্টাররা ভালো করেছেন। ব্রোঞ্জ জেতেন গ্যাটলিনের স্বদেশি ট্রেভন ব্রোমেল। যুক্তরাষ্ট্রের অপর দুই স্প্রিন্টার মাইক রজার্স পঞ্চম ও টাইসন গে ষষ্ঠ স্থানে থেকে দৌড় শেষ করেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আসার আগে এ বছর মাত্র দুবার ১০০ মিটার দৌড়েছেন বোল্ট। হাঁটু ও পেলভিসের সমস্যা কাটিয়ে গত জুলাইয়ে লন্ডনে ২০১২ অলিম্পিকের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত গেমসে ৯.৮৭ সেকেন্ড সময় নেন তিনি। এর আগে একবার ১০০ মিটার শেষ করতে ১০.১২ সেকেন্ড সময় নেন জ্যামাইকার এ স্প্রিন্টার।
                গ্যাটলিনের অসাধারণ ফর্ম আর বোল্টের বাজে অবস্থা মিলিয়ে অনেকেই বলছিলেন, এবার আর পারছেন না ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের বিশ্ব রেকর্ডের মালিক। তবে সংশয়কে পেছনে ফেলে এ নিয়ে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটারে তৃতীয় সোনা জিতলেন ২০০৯ সালে বার্লিনে ৯.৫৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়া বোল্ট। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক ও ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে সোনা জেতেন বোল্ট। এবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অবশ্য ভাগ্যও একদিক থেকে সাহায্য করে বোল্টকে। হিটের সময় শুরুর দিকে হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে সামলে উঠে হিটেও প্রথম হন ২০১১ সালে এ প্রতিযোগিতারই ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ডিসকোয়ালিফাই হওয়া বোল্ট।