পেদ্রোর নৈপুণ্যে চেলসির প্রথম জয়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: নতুন ঠিকানায় এসেই জ্বলে উঠলেন পেদ্রো রদ্রিগেস। গোল করলেন এবং করালেন। চেলসির আক্রমণভাগের আরেক তারকা দিয়েগো কস্তাও আলো ছড়ালেন। সব মিলে প্রিমিয়ার লিগের এ মরসুমে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো জোসে মরিনিয়োর দল। ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম ম্যাচে সোয়ানসি সিটির সাথে ২-২ গোলে ড্র করার পর গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠ থেকে ৩-০ গোলে হেরে আসে চেলসি। লিগে প্রথম জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা চেলসি ওয়েস্ট হ্যামের মাঠে রোববার শুরুটা ভালো করে। দুদিন আগেই ক্লাবে যোগ দেয়া পেদ্রোর গোলে এগিয়ে যায় তারা। ডি বক্সের মধ্যে এডেন হ্যাজার্ডের পাস ধরে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান বার্সেলোনা ছেড়ে আসা এ ফরোয়ার্ড।
                ১০ মিনিট বাদেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আরেক স্প্যানিশ খেলোয়াড় দিয়েগো কস্তা। এ গোলেও দারুণ অবদান ছিলো পেদ্রোর। উইলিয়ানের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলমুখেই শট নেন তিনি। আর তাতেই টোকা মেরে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলে জন্ম নেয়া কস্তা। ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে হয়তো সহজ জয়ের প্রত্যাশাই করছিলো চেলসির খেলোয়াড় ও সমর্থকরা। কিন্তু পাঁচ মিনিট পর একটি গোল শোধ করে লড়াইয়ের আভাস দেন ওয়েস্ট হ্যামের জেমস মরিসন। ভেনেজুয়েলার ফরোয়ার্ড হোসে সালোমনের পাস থেকে গোলটি করেন ইংলিশ এ মিডফিল্ডার। ছয় মিনিট পরেই অবশ্য ফের দুই গোলের ব্যবধানে চেলসিকে এগিয়ে দেন সিজার আসপিলিকুয়েতা। কস্তার পাস ধরে ডি বক্সের মধ্যে থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান স্প্যানিশ এ ডিফেন্ডার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বড় একটা ধাক্কা খায় চেলসি। ৫৪তম মিনিটে নিজেদের সীমানায় সালোমনকে ফাউল করে লালকার্ড দেখেন জন টেরি। দশজনের দলে পরিণত হয় দলটি। এর পাঁচ মিনিট পর আবারও ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা। ইংলিশ মিডফিল্ডার ক্যালাস ম্যাকমানামানের ক্রসে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মরিসন।
                এ গোলের পরও ৩-২ স্কোরলাইনে এগিয়েই ছিলো চেলসি। কিন্তু দলে এক জন কম থাকায় দুশিচন্তাও ছিলো বৈকি। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটেনি। ওই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি।