মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যুবলীগ সভাপতিকে কুপিয়ে খুন

স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রকাশ্যে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চন্দ্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজমাঠে অনুষ্ঠিত ১৫ আগস্ট শোকদিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান স্থলের মাত্র কয়েকগজ দূরে একটি চায়ের দোকানের সামনে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। নিহত রফিকুল ইসলাম (৪৫) কালিয়াকৈরের চাপাইর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

জানা যায়, কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে শুক্রবার বিকেলে পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাড. আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষ করে রফিকুল ইসলাম পাশের মোশারফের চায়ের দোকানে চা পান করতে যান। এ সময় অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এসে তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। যুবলীগ নেতার মৃত্যুর সংবাদ জানার পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বক্তব্য না দিয়ে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলোচনাসভায় বক্তব্য শেষে যুবলীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম মঞ্চ থেকে নেমে যান। তিনি মঞ্চের কাছে একটি চা দোকানের সামনে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামসুল হুদা নাঈম জানান, রফিকুল ইসলামের পেটে তিনটি ও বুকে একটি ছুরিকাঘাতের জখম এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাড. আ ক ম মোজাম্মেল হক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রফিকুল ইসলামের লাশ দেখতে যান। এ সময় সেখানে দলীয় নোতকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।